2:10 pm, Tuesday, 18 November 2025

ইউক্রেনকে বিভক্ত করতে চায় মস্কো

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন অভিযানের প্রথম ধাপ সমাপ্তির ঘোষণা দিলেও বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। হামলা থেকে ঘন বসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকাও বাদ পড়ছে না। ইউক্রেনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বেশ কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করে নিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো করে বিভক্ত করে ফেলার অপচেষ্টা করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লুহানস্কের গণভোট আয়োজনের ঘোষণা ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের ওই বক্তব্যকেই সমর্থন করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর প্রথমেই লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক অঞ্চল দখল করে নেয়। পরে এই দুই অঞ্চলকে রাষ্ট্র হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আবারও পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহায়তা চেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ইউক্রেনের এই পরিস্থিতিতে সামরিক জোট ন্যাটো কী করছে?

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরোলো বুদানভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো করে বিভক্ত করতে চায়। কিয়েভের পতন ঘটাতে ও ইউক্রেনের বৈধ সরকারকে উত্খাত করতে ব্যর্থ হওয়ায় মস্কো এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যেই লুহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লেওনিদ পাচেসনিক বলেছেন, ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’ শিগগিরই গণভোটের আয়োজন করতে পারে। এই গণভোটের মাধ্যমে লুহানস্ক রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে।

এর আগে খারসনে এমন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়ার দখল করা শহর খারসনের আঞ্চলিক পরিষদ ‘শহরটি এখনো ইউক্রেনের অংশ’—এ মর্মে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা তখন অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া খারসনে একটি বিচ্ছিন্নতাকামী ‘প্রজাতন্ত্র’ গঠন করার জন্য সাজানো গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার রাতে ভিডিও বার্তায় আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অস্ত্র চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রের জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করব আমরা। ৩১ দিন হয়ে গেল। ন্যাটোর যত অস্ত্র আছে, আমরা তার থেকে ১ শতাংশ চেয়েছি। তার বেশি চাইনি। ’

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

ইউক্রেনকে বিভক্ত করতে চায় মস্কো

Update Time : 04:31:24 am, Monday, 28 March 2022

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন অভিযানের প্রথম ধাপ সমাপ্তির ঘোষণা দিলেও বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। হামলা থেকে ঘন বসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকাও বাদ পড়ছে না। ইউক্রেনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বেশ কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করে নিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো করে বিভক্ত করে ফেলার অপচেষ্টা করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লুহানস্কের গণভোট আয়োজনের ঘোষণা ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের ওই বক্তব্যকেই সমর্থন করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর প্রথমেই লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক অঞ্চল দখল করে নেয়। পরে এই দুই অঞ্চলকে রাষ্ট্র হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আবারও পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহায়তা চেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ইউক্রেনের এই পরিস্থিতিতে সামরিক জোট ন্যাটো কী করছে?

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিরোলো বুদানভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো করে বিভক্ত করতে চায়। কিয়েভের পতন ঘটাতে ও ইউক্রেনের বৈধ সরকারকে উত্খাত করতে ব্যর্থ হওয়ায় মস্কো এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যেই লুহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লেওনিদ পাচেসনিক বলেছেন, ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’ শিগগিরই গণভোটের আয়োজন করতে পারে। এই গণভোটের মাধ্যমে লুহানস্ক রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে।

এর আগে খারসনে এমন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়ার দখল করা শহর খারসনের আঞ্চলিক পরিষদ ‘শহরটি এখনো ইউক্রেনের অংশ’—এ মর্মে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা তখন অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া খারসনে একটি বিচ্ছিন্নতাকামী ‘প্রজাতন্ত্র’ গঠন করার জন্য সাজানো গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার রাতে ভিডিও বার্তায় আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অস্ত্র চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রের জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করব আমরা। ৩১ দিন হয়ে গেল। ন্যাটোর যত অস্ত্র আছে, আমরা তার থেকে ১ শতাংশ চেয়েছি। তার বেশি চাইনি। ’