9:14 am, Tuesday, 18 November 2025

ইউপি সদস্য সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

আকরামুল রাজ্জাক চৌধুরী, কমলগঞ্জ: জমি আছে ঘর নেই-এমন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারকে পাকাঘর দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চা বাগানের সাবেক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলা দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন  ভুক্তভোগী রেখা চৌহান।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারিভাবে তৈরি পাকা টয়লেট গভীর নলকূপসহ পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলার দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার ১ বছর পৃর্ণ হলেও ঘরের কোন ব্যবস্হা হয়নি। ভুক্তভোগী রেখা চৌহান এ বিষয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ার করেও কোন সুরাহা হয়নি। মেম্বারের চাহিদা মতো টাকার যোগান দিতে ভুক্তভোগী পরিবার গরু, ছাগল বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।
অভিযোগে  আরও বলেছেন, মেম্বারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলেও হুমকির শিকার হচ্ছেন তারা। নিরুপায় হয়ে টাকা ফেরত ও প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও বাগান ব্যবস্থাপকের বরাবারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা রবি মুন্ডা,রঞ্জিত ব্যাক্তি, বেহুলা গঞ্জু, রামরতন দাস, আশিষ দাশ, দিলিপ বাউরী ও সঞ্জিত গড় জানান, মেম্বার আমাদের সামনে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে, রেখা চৌহানের ঘর তৈরী করে দিবে বলে। কিন্তু এতদিন হল ঘর করে দেননি, তারও খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। এর আগে আমরা মেম্বারের কাছে ঘরের বিষয়ে আলাপ করতে গেছিলাম সে পাত্তা দেয়নি, আমাদের সাথে খারাপ আচারণ করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর মোটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের খোজ খবর নিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা থাকায় পলাতক আছেন বলে জানায় একটি সুত্র।
এ ব্যাপারে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলীর উপর মামলা থাকায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে বসছেন না, যার কারণে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

ইউপি সদস্য সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

Update Time : 04:37:57 pm, Friday, 31 January 2025
আকরামুল রাজ্জাক চৌধুরী, কমলগঞ্জ: জমি আছে ঘর নেই-এমন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারকে পাকাঘর দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চা বাগানের সাবেক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলা দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন  ভুক্তভোগী রেখা চৌহান।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারিভাবে তৈরি পাকা টয়লেট গভীর নলকূপসহ পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ০৭ নং ওয়ার্ড পাত্রখোলার দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার ১ বছর পৃর্ণ হলেও ঘরের কোন ব্যবস্হা হয়নি। ভুক্তভোগী রেখা চৌহান এ বিষয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ার করেও কোন সুরাহা হয়নি। মেম্বারের চাহিদা মতো টাকার যোগান দিতে ভুক্তভোগী পরিবার গরু, ছাগল বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।
অভিযোগে  আরও বলেছেন, মেম্বারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলেও হুমকির শিকার হচ্ছেন তারা। নিরুপায় হয়ে টাকা ফেরত ও প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও বাগান ব্যবস্থাপকের বরাবারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা রবি মুন্ডা,রঞ্জিত ব্যাক্তি, বেহুলা গঞ্জু, রামরতন দাস, আশিষ দাশ, দিলিপ বাউরী ও সঞ্জিত গড় জানান, মেম্বার আমাদের সামনে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে, রেখা চৌহানের ঘর তৈরী করে দিবে বলে। কিন্তু এতদিন হল ঘর করে দেননি, তারও খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। এর আগে আমরা মেম্বারের কাছে ঘরের বিষয়ে আলাপ করতে গেছিলাম সে পাত্তা দেয়নি, আমাদের সাথে খারাপ আচারণ করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন এর মোটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের খোজ খবর নিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা থাকায় পলাতক আছেন বলে জানায় একটি সুত্র।
এ ব্যাপারে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলীর উপর মামলা থাকায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে বসছেন না, যার কারণে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।