9:24 am, Friday, 14 November 2025

এবার মোটরসাইকেল চলবে এলপিজি অটোগ্যাসে, কমবে খরচ

ডেস্ক রিপোর্ট : পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অটোগ্যাসকে অকটেনের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে মোটরসাইকেলে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোটরসাইকেলে এলপিজির ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা।

তিনি বলেন, দেশে এক লিটার অকটেন কিনতে খরচ হয় ১৩০ টাকা। অকটেনের সমপরিমাণ এলপিজি কিনতে খরচ হয় মাত্র ৬৬ টাকা। ফলে অকটেনের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলে এলপিজি ব্যবহার করতে পারবে ভোক্তারা।

মোটরসাইকেলকে এলপিজিতে রূপান্তর করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। চলতি বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এলপিজিতে রূপান্তরের কাজটি চালু হবে। এ ছাড়াও বাস ও ট্রাকগুলোকেও এলপিজিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সংগঠনটির সভাপতি জানান।

আজ শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে (এ্যাংকর হল) এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন ও কনভার্শন মালিকদের এই সংগঠনের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির মহাসচিব মোহাম্মদ হাসিন পারভেজ বিগত বছরের (২০২২) কার্যবিবরণী এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

অটোগ্যাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প-সাশ্রয়ী যানবাহন জ্বালানি হিসাবে এলপিজি অটোগ্যাসকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে হবে। এলপিজি অটোগ্যাস ব্যবসার সম্প্রসারণ, যাবতীয় লাইসেন্স সহজীকরণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এলপিজি অটোগ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ফর্মুলা থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা ও ব্যবসা প্রসারে আগামী ১০ বছর করমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। এলপিজি নীতিমালা ২০১৬ সংশোধন করে বিনিয়োগবান্ধব একটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটি সকল অটোগ্যাস স্টেশন ও কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকদেরকে অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে অটোগ্যাস সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন কম্পানির এলপিজির অপারেটরগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, অনেক স্টেশন মালিকরা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে কম বা বেশি দামে এলপিজি অটোগ্যাস বিক্রি করছেন এবং চুক্তির বাইরে গ্যাস দেওয়া-নেওয়া নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মার্কেটে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এক বাজারে দুই ধরনের পণ্য যখন বিক্রি হবে তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নিজেদের মধ্যে যদি মূল্য নিয়ে অসন্তুষ্ট দেখা দেয় তাহলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তাই অপারেটর কম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা স্টেশন মালিকদের চুক্তির বাইরে কোনো কম্পানির কাছ থেকে এলপিজি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

সভায় এলপি গ্যাস বিতরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ও দেশের ৬৪ জেলা থেকে এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এলপিজি অটোগ্যাসকে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশে এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৮৫০টি।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার  চাতলাপুর  স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবসাযীদের সাথে মত বিনিময় 

এবার মোটরসাইকেল চলবে এলপিজি অটোগ্যাসে, কমবে খরচ

Update Time : 03:38:15 pm, Saturday, 18 March 2023

ডেস্ক রিপোর্ট : পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অটোগ্যাসকে অকটেনের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে মোটরসাইকেলে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোটরসাইকেলে এলপিজির ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা।

তিনি বলেন, দেশে এক লিটার অকটেন কিনতে খরচ হয় ১৩০ টাকা। অকটেনের সমপরিমাণ এলপিজি কিনতে খরচ হয় মাত্র ৬৬ টাকা। ফলে অকটেনের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলে এলপিজি ব্যবহার করতে পারবে ভোক্তারা।

মোটরসাইকেলকে এলপিজিতে রূপান্তর করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। চলতি বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এলপিজিতে রূপান্তরের কাজটি চালু হবে। এ ছাড়াও বাস ও ট্রাকগুলোকেও এলপিজিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সংগঠনটির সভাপতি জানান।

আজ শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে (এ্যাংকর হল) এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন ও কনভার্শন মালিকদের এই সংগঠনের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির মহাসচিব মোহাম্মদ হাসিন পারভেজ বিগত বছরের (২০২২) কার্যবিবরণী এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

অটোগ্যাসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে মোহাম্মদ সিরাজুল মাওলা বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প-সাশ্রয়ী যানবাহন জ্বালানি হিসাবে এলপিজি অটোগ্যাসকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে হবে। এলপিজি অটোগ্যাস ব্যবসার সম্প্রসারণ, যাবতীয় লাইসেন্স সহজীকরণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এলপিজি অটোগ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ফর্মুলা থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা ও ব্যবসা প্রসারে আগামী ১০ বছর করমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। এলপিজি নীতিমালা ২০১৬ সংশোধন করে বিনিয়োগবান্ধব একটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটি সকল অটোগ্যাস স্টেশন ও কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকদেরকে অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে অটোগ্যাস সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন কম্পানির এলপিজির অপারেটরগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, অনেক স্টেশন মালিকরা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে কম বা বেশি দামে এলপিজি অটোগ্যাস বিক্রি করছেন এবং চুক্তির বাইরে গ্যাস দেওয়া-নেওয়া নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মার্কেটে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এক বাজারে দুই ধরনের পণ্য যখন বিক্রি হবে তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। নিজেদের মধ্যে যদি মূল্য নিয়ে অসন্তুষ্ট দেখা দেয় তাহলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তাই অপারেটর কম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা স্টেশন মালিকদের চুক্তির বাইরে কোনো কম্পানির কাছ থেকে এলপিজি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

সভায় এলপি গ্যাস বিতরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ও দেশের ৬৪ জেলা থেকে এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এলপিজি অটোগ্যাসকে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপের মালিকদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন এবং কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশে এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৮৫০টি।