9:32 am, Tuesday, 18 November 2025

‘এরা বেঁচে থাকলে চাকরি থাকবে না বলেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি’

ডেস্ক রিপোর্ট :: তুঙ্গে জুলাই ছাত্র আন্দোলন। সময় ১৮ জুলাই দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট। পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ একজন শিক্ষার্থীকে জীবিত অবস্থায় টেনে হেঁচড়ে সাঁজোয়া যান থেকে ফেলে দেয় পুলিশ। এরকম একটি ছবি প্রকাশ হলে নিন্দার ঝড় উঠে দেশব্যাপী। সে ঘটনা্র একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যায় ‘ চাইনিজ (পিস্তল) দিয়ে মার, এরা বাচিঁ থাকলে চাকরি থাকবে না’
সেদিনের ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাভারের রেডিও কলোনি, বাজার বাসস্ট্যান্ড ও পাকিজার মোড়ে পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী আশহাবুল ইয়ামিন সাঁজোয়া যানের উপর পুলিশের গুলি লাগে শিক্ষার্থী আশহাবুল ইয়ামিন গায়ে। জীবিত অবস্থায় টেনে হেঁচড়ে সাঁজোয়া যান থেকে পুলিশ তাকে নিচে ফেলে দেয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নতুন প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ১৮ জুলাই যখন ২ টা বেজে ২০ মিনিট তখন সাভার থানা থেকে ঢাকা (জেলা ১৪) একটি সাঁজোয়া গুলি ও টিয়ারসেল নিয়ে আসে পুলিশ সদস্যরা। ছাত্ররা তখন পুলিশের আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলে পুলিশের সাজোয়াযানটি ছাত্রদের দিকে এগিয়ে যায় তখন হঠাৎ দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন পুলিশের গুলিকে উপেক্ষা করে সাজোয়া যানের উপরে উঠে। উঠার পরে অপর প্রান্ত থেকে পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয় সেই শিক্ষার্থী । পেছন থেকে আরেক পুলিশ সদস্য উচ্চস্বরে বলতে থাকে ‘ওরে চাইনিস দিয়ে মার, বাঁচি থাকলি চাকরি থাকবে না’
পরবর্তীতে পুলিশের সাজোয়া যানটি গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পেছনে নিয়ে আসলে তাকে অমানবিক ভাবে গাড়ির উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তার এক হাত ধরে টেনে দেহটি আবার রাস্তার আইল্যান্ড পার করে ফেলে দেয় পুলিশ, যদিও তখন আশহাবুল ইয়ামিন জীবিত অবস্থায় ছিল কিন্তু পুলিশের আরেক সদস্য এসে রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা শিক্ষার্থীর মুখের সামনে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পিছু হটে পুলিশ সদস্যরা।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

‘এরা বেঁচে থাকলে চাকরি থাকবে না বলেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি’

Update Time : 07:59:32 am, Wednesday, 4 September 2024

ডেস্ক রিপোর্ট :: তুঙ্গে জুলাই ছাত্র আন্দোলন। সময় ১৮ জুলাই দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট। পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ একজন শিক্ষার্থীকে জীবিত অবস্থায় টেনে হেঁচড়ে সাঁজোয়া যান থেকে ফেলে দেয় পুলিশ। এরকম একটি ছবি প্রকাশ হলে নিন্দার ঝড় উঠে দেশব্যাপী। সে ঘটনা্র একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যায় ‘ চাইনিজ (পিস্তল) দিয়ে মার, এরা বাচিঁ থাকলে চাকরি থাকবে না’
সেদিনের ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাভারের রেডিও কলোনি, বাজার বাসস্ট্যান্ড ও পাকিজার মোড়ে পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী আশহাবুল ইয়ামিন সাঁজোয়া যানের উপর পুলিশের গুলি লাগে শিক্ষার্থী আশহাবুল ইয়ামিন গায়ে। জীবিত অবস্থায় টেনে হেঁচড়ে সাঁজোয়া যান থেকে পুলিশ তাকে নিচে ফেলে দেয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নতুন প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ১৮ জুলাই যখন ২ টা বেজে ২০ মিনিট তখন সাভার থানা থেকে ঢাকা (জেলা ১৪) একটি সাঁজোয়া গুলি ও টিয়ারসেল নিয়ে আসে পুলিশ সদস্যরা। ছাত্ররা তখন পুলিশের আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলে পুলিশের সাজোয়াযানটি ছাত্রদের দিকে এগিয়ে যায় তখন হঠাৎ দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন পুলিশের গুলিকে উপেক্ষা করে সাজোয়া যানের উপরে উঠে। উঠার পরে অপর প্রান্ত থেকে পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয় সেই শিক্ষার্থী । পেছন থেকে আরেক পুলিশ সদস্য উচ্চস্বরে বলতে থাকে ‘ওরে চাইনিস দিয়ে মার, বাঁচি থাকলি চাকরি থাকবে না’
পরবর্তীতে পুলিশের সাজোয়া যানটি গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পেছনে নিয়ে আসলে তাকে অমানবিক ভাবে গাড়ির উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তার এক হাত ধরে টেনে দেহটি আবার রাস্তার আইল্যান্ড পার করে ফেলে দেয় পুলিশ, যদিও তখন আশহাবুল ইয়ামিন জীবিত অবস্থায় ছিল কিন্তু পুলিশের আরেক সদস্য এসে রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা শিক্ষার্থীর মুখের সামনে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পিছু হটে পুলিশ সদস্যরা।