1:17 pm, Tuesday, 18 November 2025

কুলাউড়ায় বন্যায় বেড়েছে নৌকার ব্যবসা

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এখন‌ও বন্যার পানি কমেনি। ধীর গতিতে পানি নামছে। ঘনঘন বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে পানি কমছে না। এরমধ্যে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। রাস্তায় পানি থাকার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দি মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।

কুলাউড়ার যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হাওর তীরের ভূকশিম‌ইল ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি বন্যার ত্রাণ। তবে এসব ত্রাণ দেওয়া রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিরা নৌকা নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়ছেন।

কুলাউড়ায় বড় নৌকা না থাকায় ত্রাণের মালামাল পরিবহনে বড় ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়‌। বন্যার শুরুর দিকে নৌকার সংকট হলেও এখন অনেকটা কমেছে। বন্যার পরে চাহিদা বেড়েছে নৌকার। ত্রাণ দেওয়া ও নৌকায় যাতায়াতের কারণে চাহিদা বাড়ায় রমরমা ব্যবসা হচ্ছে নৌকা সংশ্লিষ্টদের। তবে নৌকার চাহিদা বাড়ায় অন্য উপজেলা থেকে নৌকা নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয়রা ও অন্য উপজেলার নৌকার মালিকরা ব্যাবসার জন্য কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিম‌ইল ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে আসেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি পার্শ্ববর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নৌকা এখন কুলাউড়ায় ত্রাণ বিতরণ ও যাত্রী পরিবহন করছে।

নৌকার মাঝি রিয়াজ উদ্দিন জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নৌকা নিয়ে এসেছি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাকা মালিকে দিয়ে যা লাভ হয় তা দিয়ে এখন সংসার চলে।

নৌকার ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ত্রাণ দিতে আসা মানুষের। বন্যার প্রথমদিকে চড়া দামেও নৌকা পাওয়া যায়নি। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে আসা অনেকেই ভাড়া নিয়ে তিক্তঅভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেন।

হুসাইন আহমদ ফাতির জানান, গত দুদিন থেকেই নৌকা নিয়ে হয়রানির মধ্যে আছি। নৌকার ভাড়া খুব বেশি। কেউ ৬ হাজার টাকা সারাদিনের জন্য দাবি করছে।

এদিকে রাস্তা ডুবে যাওয়ার কারণে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন বন্যা এলাকার লোকজন। উপজেলার ছকাপন থেকে ভূকশিম‌ইলের উদ্দেশ্য নৌকা ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা করে। আবার অনেকেই ট্রলারে যাতায়াত করেন। সময়মত নৌকা, ট্রলার না ছাড়ায় ভুগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব এলাকার যাত্রীদের।

 

 

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

কুলাউড়ায় বন্যায় বেড়েছে নৌকার ব্যবসা

Update Time : 01:19:04 pm, Monday, 4 July 2022

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এখন‌ও বন্যার পানি কমেনি। ধীর গতিতে পানি নামছে। ঘনঘন বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে পানি কমছে না। এরমধ্যে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। রাস্তায় পানি থাকার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দি মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।

কুলাউড়ার যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হাওর তীরের ভূকশিম‌ইল ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি বন্যার ত্রাণ। তবে এসব ত্রাণ দেওয়া রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিরা নৌকা নিয়ে অনেক সময় বিপাকে পড়ছেন।

কুলাউড়ায় বড় নৌকা না থাকায় ত্রাণের মালামাল পরিবহনে বড় ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়‌। বন্যার শুরুর দিকে নৌকার সংকট হলেও এখন অনেকটা কমেছে। বন্যার পরে চাহিদা বেড়েছে নৌকার। ত্রাণ দেওয়া ও নৌকায় যাতায়াতের কারণে চাহিদা বাড়ায় রমরমা ব্যবসা হচ্ছে নৌকা সংশ্লিষ্টদের। তবে নৌকার চাহিদা বাড়ায় অন্য উপজেলা থেকে নৌকা নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয়রা ও অন্য উপজেলার নৌকার মালিকরা ব্যাবসার জন্য কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিম‌ইল ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে আসেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি পার্শ্ববর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নৌকা এখন কুলাউড়ায় ত্রাণ বিতরণ ও যাত্রী পরিবহন করছে।

নৌকার মাঝি রিয়াজ উদ্দিন জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নৌকা নিয়ে এসেছি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাকা মালিকে দিয়ে যা লাভ হয় তা দিয়ে এখন সংসার চলে।

নৌকার ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ত্রাণ দিতে আসা মানুষের। বন্যার প্রথমদিকে চড়া দামেও নৌকা পাওয়া যায়নি। বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে আসা অনেকেই ভাড়া নিয়ে তিক্তঅভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেন।

হুসাইন আহমদ ফাতির জানান, গত দুদিন থেকেই নৌকা নিয়ে হয়রানির মধ্যে আছি। নৌকার ভাড়া খুব বেশি। কেউ ৬ হাজার টাকা সারাদিনের জন্য দাবি করছে।

এদিকে রাস্তা ডুবে যাওয়ার কারণে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন বন্যা এলাকার লোকজন। উপজেলার ছকাপন থেকে ভূকশিম‌ইলের উদ্দেশ্য নৌকা ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা করে। আবার অনেকেই ট্রলারে যাতায়াত করেন। সময়মত নৌকা, ট্রলার না ছাড়ায় ভুগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব এলাকার যাত্রীদের।