তিনি বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ করা যায়নি। আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। তবে এখন আর বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছি না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, মার্কেটটির ফায়ার সেফটি সিস্টেম অত্যন্ত দুর্বল ছিল। ব্যবসায়ীরা সিটি করপোরেশন থেকে একটি দোকান বরাদ্দ নিয়ে করিডোরে আরও দুই-তিনটি সাব দোকান দিয়েছিলেন। যার কারণে করিডোরগুলো খুবই সংকীর্ণ হয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে কাপড়ের মাধ্যমে আগুন ছড়িয়েছে। এছাড়া মার্কেটের ফলস ছাদ, উপরে প্লাস্টিক আইটেম ও ব্যানার-পোস্টারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসব ব্যানার-পেস্টুনের বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। এগুলো পরিহার করার সময় এসেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৪৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবিও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এর আগে ৪ এপ্রিল রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি পোশাকের মার্কেট বঙ্গবাজারেও ভয়াবহ আগুন লাগে। তখন আগুনে চার-পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার। পথে বসেন হাজারো ব্যবসায়ী।

নিজস্ব প্রতিবেদক 






















