7:42 pm, Monday, 17 November 2025

নেপালে ভূমিধসে নিখোঁজ ৬৩ জনের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দল

ডেস্ক রিপোর্ট :: নেপালি উদ্ধারকারী দলগুলো শনিবার ভোরে বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে নিখোঁজ কমপক্ষে ৬৩ জনের অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করেছে। দুর্ঘটনায় মহাসড়ক থেকে দুটি বাস ছিটকে পড়ে এবং একটি নদীতে ভেসে গেছে।

চিতওয়ান জেলার মধ্যাঞ্চলে শুক্রবারের ভূমিধসের কংক্রিটের সড়ক ডিভাইডার উপর দিয়ে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে এবং রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার নিচে পড়ে যায়।
কয়েক ডজন উদ্ধারকারী ত্রিশূলী নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। নদীর ঘোলা পানি এবং প্রচন্ড ¯্রােতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সূর্যাস্তের আগে তারা উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।

যানবাহন বা তাদের আরোহীর কোনো চিহ্ন এখনো পাওয়া যায়নি।

চিতওয়ান জেলা প্রধান ইন্দ্রদেব যাদব এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালাব।’

তিনি বলেন, ‘পানির স্তর, স্রোত এবং পানির গভীরতা সত্ত্বেও আমরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য আমাদের সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করব।’

শুক্রবার জেলা কর্মকর্তা খিমানন্দ ভুসাল এএফপিকে বলেছেন, বাসগুলো মধ্যে কমপক্ষে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তিনজন যাত্রী বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে নারায়ণঘাট-মুগলিং হাইওয়ে বরাবর ভোর হওয়ার আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

একটি বাস রাজধানী থেকে দক্ষিণ নেপালের রাউতাহাট জেলার গৌড়ের দিকে যাচ্ছিল এবং অন্যটি দক্ষিণ বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল।

একই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় এক চালক নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খারাপভাবে নির্মিত রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে নেপালে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিল থেকে এক বছরে নেপালের প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

জানুয়ারিতে নেপালগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বাস নদীতে পড়ে দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।

বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভ্রমণ মারাত্মক হয়ে ওঠে কারণ, বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি দেশজুড়ে ভূমিধস ও বন্যা হয়।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

নেপালে ভূমিধসে নিখোঁজ ৬৩ জনের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দল

Update Time : 07:18:56 am, Saturday, 13 July 2024

ডেস্ক রিপোর্ট :: নেপালি উদ্ধারকারী দলগুলো শনিবার ভোরে বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে নিখোঁজ কমপক্ষে ৬৩ জনের অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করেছে। দুর্ঘটনায় মহাসড়ক থেকে দুটি বাস ছিটকে পড়ে এবং একটি নদীতে ভেসে গেছে।

চিতওয়ান জেলার মধ্যাঞ্চলে শুক্রবারের ভূমিধসের কংক্রিটের সড়ক ডিভাইডার উপর দিয়ে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে এবং রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার নিচে পড়ে যায়।
কয়েক ডজন উদ্ধারকারী ত্রিশূলী নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। নদীর ঘোলা পানি এবং প্রচন্ড ¯্রােতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সূর্যাস্তের আগে তারা উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।

যানবাহন বা তাদের আরোহীর কোনো চিহ্ন এখনো পাওয়া যায়নি।

চিতওয়ান জেলা প্রধান ইন্দ্রদেব যাদব এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালাব।’

তিনি বলেন, ‘পানির স্তর, স্রোত এবং পানির গভীরতা সত্ত্বেও আমরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য আমাদের সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করব।’

শুক্রবার জেলা কর্মকর্তা খিমানন্দ ভুসাল এএফপিকে বলেছেন, বাসগুলো মধ্যে কমপক্ষে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তিনজন যাত্রী বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে নারায়ণঘাট-মুগলিং হাইওয়ে বরাবর ভোর হওয়ার আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

একটি বাস রাজধানী থেকে দক্ষিণ নেপালের রাউতাহাট জেলার গৌড়ের দিকে যাচ্ছিল এবং অন্যটি দক্ষিণ বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল।

একই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় এক চালক নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খারাপভাবে নির্মিত রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে নেপালে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এপ্রিল থেকে এক বছরে নেপালের প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

জানুয়ারিতে নেপালগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বাস নদীতে পড়ে দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।

বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভ্রমণ মারাত্মক হয়ে ওঠে কারণ, বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি দেশজুড়ে ভূমিধস ও বন্যা হয়।