ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র রোজা, ইস্টারসানডে, চৈত্রসংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবস এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় দেড় মাস বন্ধ ছিল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। গত বৃহস্পতিবার থেকে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও আজ (৩০ এপ্রিল) থেকে পুরোদমে খুলেছে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর স্কুলের ক্লাসরুম, স্কুলের আঙিনায় জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা পরিষ্কারসহ ৬টি নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
গত ১৩ এপ্রিল অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী সই করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, পবিত্র রমজান মাসসহ অন্যান্য ছুটি পরবর্তী খোলার পর এসব নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী রোববার বাড্ডার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসএসসি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এই প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ্ট প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সব কিছুই ঠিক আছে, কিন্তু স্কুলের ভেতরে একটু অপরিষ্কার। এটা আমার কাছে খারাপ লেগেছে। অন্তত স্কুলটাকে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারতেন। একটা বড় পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে এটা স্কুল কর্তৃপক্ষকে মনে রাখা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, অন্তত পরীক্ষার জন্য হলেও কেন্দ্রটা আরও পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার ছিল। তারা চাইলে আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারতেন। একটি বড় পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে, বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল পরীক্ষাকেন্দ্র আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা।
অন্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ডা. দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।

নিজস্ব প্রতিবেদক 























