10:43 pm, Monday, 17 November 2025

বিশ্ববাজারে দাম কমেছে ডলারের

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রায় ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে মার্কিন ডলারের। ডলার সূচকে গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) এর অবস্থান ছিল ৯৫ দশমিক ২৬৬, যা ২০২০ সালের জুলাইয়ের পর থেকে সর্বোচ্চ। কিন্তু সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ৯৫ দশমিক ১২০ দাঁড়িয়েছে।

ডলার সূচকের মাধ্যমে ইউরো, পাউন্ড, জাপানি ইয়েন, কানাডিয়ান ডলার, সুইডিশ ক্রোনা ও সুইস ফ্রা’র বিপরীতে মার্কিন ডলারের শক্তি কতটা, তা জানা যায়।

গত শুক্রবার ইউরোর মূল্য ছিল ১৬ মাসের ভেতর সর্বনিম্ন ১ দশমিক ১৪৩৩ ডলার। সোমবার তা সামান্য বেড়ে ১ দশমিক ১৪৫৫ হয়েছে।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত শুক্রবার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর ছিল এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, ১ দশমিক ৩৩৫৪। সোমবার তা ০.০৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৩৪২১ ডলার।

ইয়েনের বিপরীতে অবশ্য দাম কিছুটা বেড়েছে ডলারের। গত বুধবার থেকে ১১৪ থাকার পর সোমবার এর দর হয়েছে ১১৩ দশমিক ৯৬৫ ইয়েন।

মূলত গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকেই দাম বাড়ছিল ডলারের। বাংলাদেশেও ডলারের দাম বাড়তির দিকে। ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি দামের সম্পর্ক রয়েছে। এর দাম বাড়ায় আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তবে লাভবান হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা।

চলতি সপ্তাহে দুটি ঘটনা বিশ্ববাজারের ডলারের দামে প্রভাব ফেলতে পারে। একটি হচ্ছে- মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ। যুক্তরাষ্ট্র সময় সোমবার সন্ধ্যায় এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

দ্বিতীয়টি হলো আগামী মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা পণ্য বিক্রির তথ্যপ্রকাশ। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের কেনাকাটার আগ্রহ গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

বিশ্ববাজারে দাম কমেছে ডলারের

Update Time : 02:36:12 pm, Monday, 15 November 2021

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রায় ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে মার্কিন ডলারের। ডলার সূচকে গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) এর অবস্থান ছিল ৯৫ দশমিক ২৬৬, যা ২০২০ সালের জুলাইয়ের পর থেকে সর্বোচ্চ। কিন্তু সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ৯৫ দশমিক ১২০ দাঁড়িয়েছে।

ডলার সূচকের মাধ্যমে ইউরো, পাউন্ড, জাপানি ইয়েন, কানাডিয়ান ডলার, সুইডিশ ক্রোনা ও সুইস ফ্রা’র বিপরীতে মার্কিন ডলারের শক্তি কতটা, তা জানা যায়।

গত শুক্রবার ইউরোর মূল্য ছিল ১৬ মাসের ভেতর সর্বনিম্ন ১ দশমিক ১৪৩৩ ডলার। সোমবার তা সামান্য বেড়ে ১ দশমিক ১৪৫৫ হয়েছে।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত শুক্রবার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর ছিল এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, ১ দশমিক ৩৩৫৪। সোমবার তা ০.০৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৩৪২১ ডলার।

ইয়েনের বিপরীতে অবশ্য দাম কিছুটা বেড়েছে ডলারের। গত বুধবার থেকে ১১৪ থাকার পর সোমবার এর দর হয়েছে ১১৩ দশমিক ৯৬৫ ইয়েন।

মূলত গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকেই দাম বাড়ছিল ডলারের। বাংলাদেশেও ডলারের দাম বাড়তির দিকে। ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি দামের সম্পর্ক রয়েছে। এর দাম বাড়ায় আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তবে লাভবান হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা।

চলতি সপ্তাহে দুটি ঘটনা বিশ্ববাজারের ডলারের দামে প্রভাব ফেলতে পারে। একটি হচ্ছে- মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ। যুক্তরাষ্ট্র সময় সোমবার সন্ধ্যায় এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

দ্বিতীয়টি হলো আগামী মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা পণ্য বিক্রির তথ্যপ্রকাশ। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের কেনাকাটার আগ্রহ গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে