9:24 pm, Thursday, 13 November 2025

বড়লেখায় গরু চুরির হিড়িক একরাতে ছয়টি গরু চুরি এলাকায় আতঙ্ক

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রায়ই একরাতে ১০-১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে গরু মালিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোববার রাতে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী এলাকা থেকে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইতিপূর্বে উপজেলার দক্ষিণভাগ, আরেঙ্গাবাদ, সফরপুর, পেনাগুল, সুড়িকান্দি গ্রাম থেকে অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে। এদিকে রাতে বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের টহল থাকা সত্তে¡ও কীভাবে চোরচক্র গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা প্রশ্ন তুলেছেন।

জানা গেছে, রোববার রাতের যেকোনো সময় উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী এলাকার তোতা মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে চোরচক্র ৪ টি গরু এবং তোতার মিয়ার প্রতিবেশি আনোয়ারা বেগমের গোয়াল ঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
ইতিপূর্বে দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুড়িকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার মাসুক আহমদের ৪টি, মতিউর রহমানের ২টি এবং আরও এক ব্যক্তির দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। দক্ষিণভাগ গ্রামের লস্কর বাড়ি থেকে একরাতে ১২টি গরু চুরি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গরু মালিক তোতা মিয়া জানান, চোরেরা তার সেমিপাকা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে চারটি গরু ও প্রতিতবেশি আনোয়ার বেগমের দু’টি গরু নিয়ে গেছে। আমার চারটিসহ ছয়টি গরুর বাজারমূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা গরু মালিকরা জানান, রাতে রাস্তায় পুলিশ টহল দেয়। এরপরও চোরেরা কীভাবে গরু নিয়ে যায়? তারা জানান, চুরির পর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায় সারে। চুরি হওয়া গরু উদ্ধার কিংবা প্রকৃত চোরদের ধরতে পারে না। যার কারণে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে।

থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, পুলিশ চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের পাশাপাশি চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন গরুচোর গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কয়েকটি গরুও উদ্ধার হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

Popular Post

জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতায় গেলে সকলকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করা হবে- এড. আব্দুর রব

বড়লেখায় গরু চুরির হিড়িক একরাতে ছয়টি গরু চুরি এলাকায় আতঙ্ক

Update Time : 10:54:57 am, Monday, 14 March 2022

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রায়ই একরাতে ১০-১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে গরু মালিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোববার রাতে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী এলাকা থেকে ৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইতিপূর্বে উপজেলার দক্ষিণভাগ, আরেঙ্গাবাদ, সফরপুর, পেনাগুল, সুড়িকান্দি গ্রাম থেকে অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে। এদিকে রাতে বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের টহল থাকা সত্তে¡ও কীভাবে চোরচক্র গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা প্রশ্ন তুলেছেন।

জানা গেছে, রোববার রাতের যেকোনো সময় উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী এলাকার তোতা মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে চোরচক্র ৪ টি গরু এবং তোতার মিয়ার প্রতিবেশি আনোয়ারা বেগমের গোয়াল ঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
ইতিপূর্বে দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুড়িকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার মাসুক আহমদের ৪টি, মতিউর রহমানের ২টি এবং আরও এক ব্যক্তির দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। দক্ষিণভাগ গ্রামের লস্কর বাড়ি থেকে একরাতে ১২টি গরু চুরি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গরু মালিক তোতা মিয়া জানান, চোরেরা তার সেমিপাকা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে চারটি গরু ও প্রতিতবেশি আনোয়ার বেগমের দু’টি গরু নিয়ে গেছে। আমার চারটিসহ ছয়টি গরুর বাজারমূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা গরু মালিকরা জানান, রাতে রাস্তায় পুলিশ টহল দেয়। এরপরও চোরেরা কীভাবে গরু নিয়ে যায়? তারা জানান, চুরির পর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায় সারে। চুরি হওয়া গরু উদ্ধার কিংবা প্রকৃত চোরদের ধরতে পারে না। যার কারণে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে।

থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, পুলিশ চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের পাশাপাশি চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন গরুচোর গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কয়েকটি গরুও উদ্ধার হয়েছে।