8:06 pm, Thursday, 13 November 2025

মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বিক্রি করা যাবে না : খাদ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট:খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট নাম দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে চাল বিক্রি ও ছাঁটাই রোধে একটি আইন ইতোমধ্যে কেবিনেট মিটিংয়ে (খসড়া) চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এখন সংসদে যাওয়ার অপেক্ষায়। এ ছাড়া মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ ও বিতরণসহ আইন অনুমোদিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ‘আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি’ আওতায় ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে দেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যে মজুদ হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এবারে মাত্র ১১ লাখ মেট্রিক টন সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার ফলে যারা মজুতদার ছিল, তারা বেকায়দায় পড়েছে। এ ছাড়াও ওএমএস চালু করায় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে কতটুকু সারের প্রয়োজন, কোন কোন ফসলের জন্য কতটুকু সার দরকার, সরকার সেই হিসাব করে সার কিনে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও অর্থের যোগান দিয়ে বিদেশ থেকে বেশি দামে সার ক্রয় করা হয়েছে। ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছে যাদের অল্প লাভে পেট ভরে না। তাই নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারদের সজাগ থাকতে হবে। সার, সেচ, কীটনাশক নিয়ে যেন কেউ অনিয়ম করতে না পারে।

কৃষকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে হিসাব রাখতে হয় আউশ, বোরো ও আমন কতটুকু উৎপাদন হবে। এবং কতটুকু ঘাটতি হবে। তাই সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সারের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন।

উল্লেখ্য, ‘আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি’ ২০২২-২৩ এর আওতায় সাপাহারে ১৯৩৫ জন, পোরশায় ১৯৩৫ ও নিয়ামতপুরে ৩৫১০ কৃষকদের মাঝে এসব সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক কৃষক মধ্যে ৫ কেজি ধানের, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি ১০ কেজি বিতরণ করা হয়।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতায় গেলে সকলকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করা হবে- এড. আব্দুর রব

মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বিক্রি করা যাবে না : খাদ্যমন্ত্রী

Update Time : 10:13:00 am, Tuesday, 11 April 2023

ডেস্ক রিপোর্ট:খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট নাম দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে চাল বিক্রি ও ছাঁটাই রোধে একটি আইন ইতোমধ্যে কেবিনেট মিটিংয়ে (খসড়া) চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এখন সংসদে যাওয়ার অপেক্ষায়। এ ছাড়া মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ ও বিতরণসহ আইন অনুমোদিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ‘আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি’ আওতায় ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে দেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যে মজুদ হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এবারে মাত্র ১১ লাখ মেট্রিক টন সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার ফলে যারা মজুতদার ছিল, তারা বেকায়দায় পড়েছে। এ ছাড়াও ওএমএস চালু করায় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে কতটুকু সারের প্রয়োজন, কোন কোন ফসলের জন্য কতটুকু সার দরকার, সরকার সেই হিসাব করে সার কিনে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও অর্থের যোগান দিয়ে বিদেশ থেকে বেশি দামে সার ক্রয় করা হয়েছে। ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছে যাদের অল্প লাভে পেট ভরে না। তাই নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারদের সজাগ থাকতে হবে। সার, সেচ, কীটনাশক নিয়ে যেন কেউ অনিয়ম করতে না পারে।

কৃষকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে হিসাব রাখতে হয় আউশ, বোরো ও আমন কতটুকু উৎপাদন হবে। এবং কতটুকু ঘাটতি হবে। তাই সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সারের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন।

উল্লেখ্য, ‘আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি’ ২০২২-২৩ এর আওতায় সাপাহারে ১৯৩৫ জন, পোরশায় ১৯৩৫ ও নিয়ামতপুরে ৩৫১০ কৃষকদের মাঝে এসব সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক কৃষক মধ্যে ৫ কেজি ধানের, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি ১০ কেজি বিতরণ করা হয়।