9:15 am, Friday, 14 November 2025

মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ বাজার

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ বাজার। করোনার ধাক্কায় গত তিন বছর বিবর্ণ ছিলো ঈদ বাজার। কেনাকাটা তেমন হয়নি গেলো চার ঈদে। তবে এবার পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন। ঈদে কেনাকাটা করতে হাটবাজারের বিপণিবিতান ও শপিং মলে ভিড় করছেন। নতুন নতুন পোশাকে আবারও ঈদকে রঙিন করে তোলার এই তো সুযোগ এসেছে এবারকার ঈদে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের বাকি হাতেগোনা আর কয়েকদিন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতরকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ সবকটি উপজেলার হাটবাজারগুলো। প্রতিটি মার্কেট আর শপিং মলে লাল-নীল বাতির আলোয় উজ্জ্বল এই বাজারগুলো। সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। কেনাকাটায় ছন্দ ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। করোনার প্রকোপে ব্যবসা হয়নি তাই আসন্ন ঈদে ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে প্রিয়জনের জন্য নতুন জামা কিনতে পেরে হাসি ফুটছে ক্রেতাদের মুখেও। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীবাজার শহরের সেন্টাল রোর্ডের অলিগলি সহ ছোট বড় শপিং মহলে ত্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় সেই সাথে চোখে পড়েছে আবার দর্জির দোকানেও। শহরের জুলিয়া শপিং সিটি, ঈশিকা,আহমদ ম্যানশন, এস আর মার্কেট, আশরাফ সেন্টার, শাপলা ম্যানশন, সেরাটন প্লাজা, সেভেন স্টার,ওয়েস্টান প্লাজা, জনতা ম্যানশন, বিভিন্ন প্লাজাসহ ছোট বড় দোকানসহ ফুটপাতেও জমে উঠেছে। সেই সাথে বড় দোকান গুলোর মধ্যে এমবি ক্লথ স্টোর,বিলাস ডিপার্ট মেন্টাল স্টোর,ঈশিকা,রাজিয়া ক্লথস্টোর,,নুর ব্রাদার্স, রেমন্ড, ইনফেন্টি,দে রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা বাহীনী। জুলিয়া শপিং সিটির ববসায়ী রিপন, সঞ্জিত,কাবের বলেন, এবার ঈদে বেচাকেনা ভালো আছে। তবে যে পরিমান হওয়ার কথা সে পরিমান ক্রেতা আসছেননা। তার পর ও সামনের কয়েকদিন ক্রেতারা বেশি আসছেন। আশা করছি রমজানের শেষের দিকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।

শপিং করতে আশা বেগম, পলি আক্তার, ফাতেমা বেগম, জান্নাত,নুরজাহান জানান, এবার পছন্দের সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটে আর দাম একটু বেশি হলেও পছন্দের জামা কিনেছি। একই বিপণী বিতানের বিক্রেতা আজহার আলী ও গেধু মিয়া জানান, এবারে বিক্রি এখনো বাড়েনি আশা রাখি এ কয়েয়ক দিনের মধ্যে বাড়বে। ক্রেতাদের উপস্থিতি আমাদের আশা বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন- মৌলভীবাজার প্রবাসী অধ্যসিত জেলার সকল থানার এলাকায় রমজানের ঈদ উপলক্ষে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা জন্য মার্কেট ও বিপনি বিতান গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কঠোর নজরদারি রাখছে। শুধু তাই নয় ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্নে করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন স্তরের পুলিশ বাহিনী। আশা করি পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপুর্নভাবে শেষ হবে ।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

Popular Post

ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার  চাতলাপুর  স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবসাযীদের সাথে মত বিনিময় 

মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ বাজার

Update Time : 08:52:28 pm, Friday, 14 April 2023

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ বাজার। করোনার ধাক্কায় গত তিন বছর বিবর্ণ ছিলো ঈদ বাজার। কেনাকাটা তেমন হয়নি গেলো চার ঈদে। তবে এবার পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন। ঈদে কেনাকাটা করতে হাটবাজারের বিপণিবিতান ও শপিং মলে ভিড় করছেন। নতুন নতুন পোশাকে আবারও ঈদকে রঙিন করে তোলার এই তো সুযোগ এসেছে এবারকার ঈদে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের বাকি হাতেগোনা আর কয়েকদিন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতরকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে মৌলভীবাজার জেলা শহরসহ সবকটি উপজেলার হাটবাজারগুলো। প্রতিটি মার্কেট আর শপিং মলে লাল-নীল বাতির আলোয় উজ্জ্বল এই বাজারগুলো। সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। কেনাকাটায় ছন্দ ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। করোনার প্রকোপে ব্যবসা হয়নি তাই আসন্ন ঈদে ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে প্রিয়জনের জন্য নতুন জামা কিনতে পেরে হাসি ফুটছে ক্রেতাদের মুখেও। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীবাজার শহরের সেন্টাল রোর্ডের অলিগলি সহ ছোট বড় শপিং মহলে ত্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় সেই সাথে চোখে পড়েছে আবার দর্জির দোকানেও। শহরের জুলিয়া শপিং সিটি, ঈশিকা,আহমদ ম্যানশন, এস আর মার্কেট, আশরাফ সেন্টার, শাপলা ম্যানশন, সেরাটন প্লাজা, সেভেন স্টার,ওয়েস্টান প্লাজা, জনতা ম্যানশন, বিভিন্ন প্লাজাসহ ছোট বড় দোকানসহ ফুটপাতেও জমে উঠেছে। সেই সাথে বড় দোকান গুলোর মধ্যে এমবি ক্লথ স্টোর,বিলাস ডিপার্ট মেন্টাল স্টোর,ঈশিকা,রাজিয়া ক্লথস্টোর,,নুর ব্রাদার্স, রেমন্ড, ইনফেন্টি,দে রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা বাহীনী। জুলিয়া শপিং সিটির ববসায়ী রিপন, সঞ্জিত,কাবের বলেন, এবার ঈদে বেচাকেনা ভালো আছে। তবে যে পরিমান হওয়ার কথা সে পরিমান ক্রেতা আসছেননা। তার পর ও সামনের কয়েকদিন ক্রেতারা বেশি আসছেন। আশা করছি রমজানের শেষের দিকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।

শপিং করতে আশা বেগম, পলি আক্তার, ফাতেমা বেগম, জান্নাত,নুরজাহান জানান, এবার পছন্দের সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটে আর দাম একটু বেশি হলেও পছন্দের জামা কিনেছি। একই বিপণী বিতানের বিক্রেতা আজহার আলী ও গেধু মিয়া জানান, এবারে বিক্রি এখনো বাড়েনি আশা রাখি এ কয়েয়ক দিনের মধ্যে বাড়বে। ক্রেতাদের উপস্থিতি আমাদের আশা বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন- মৌলভীবাজার প্রবাসী অধ্যসিত জেলার সকল থানার এলাকায় রমজানের ঈদ উপলক্ষে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা জন্য মার্কেট ও বিপনি বিতান গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কঠোর নজরদারি রাখছে। শুধু তাই নয় ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্নে করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন স্তরের পুলিশ বাহিনী। আশা করি পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপুর্নভাবে শেষ হবে ।