1:21 pm, Tuesday, 18 November 2025

মৌলভীবাজারে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির সৈয়ারপুরের আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব-২০২২ উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১লা জুলাই) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির সৈয়ারপুর অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। এতে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার ইস্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমান রত্নেশ্বর কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, মৌলভীবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট পার্থ সারথী পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আশু রঞ্জন দাস, জেলা নামহট্ট এর উপদেষ্টা প্রেমাধী দাশ, জেলা নামহট্ট এর উপদেষ্টা বিন্দু মাধব কৃপা দাশ, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট বিচিত্র কুমার দে। ধর্মীয় আলোচনা সভা শেষে জগন্নাথদেব,সুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহ নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি সৈয়ারপুর ইস্কন মন্দির থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ইস্কন মন্দিরে এসে শেষ হয়।

এ সময় এমপি নেছার আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে দেশ রক্ষার্থে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এদেশ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের। ধর্মীয় উৎসব মানুষের মনের উদারতা বিকশিত করে। সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।’

উল্লেখ্য,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর।জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর।তার অনুগ্রহ হলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়।জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না।এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রথযাত্রা উপলক্ষে মৌলভীবাজার ইস্কন মন্দির ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, মহাপ্রসাদ বিতরন, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, জগন্নাথের ভোগরাগ, কীর্তন ইত্যাদি। ৮ জুলাই উল্টোরথের মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।

 

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

মৌলভীবাজারে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত

Update Time : 05:32:18 am, Friday, 1 July 2022

স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির সৈয়ারপুরের আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব-২০২২ উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১লা জুলাই) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির সৈয়ারপুর অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। এতে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার ইস্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমান রত্নেশ্বর কৃষ্ণ দাস ব্রম্মচারীর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, মৌলভীবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট পার্থ সারথী পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আশু রঞ্জন দাস, জেলা নামহট্ট এর উপদেষ্টা প্রেমাধী দাশ, জেলা নামহট্ট এর উপদেষ্টা বিন্দু মাধব কৃপা দাশ, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট বিচিত্র কুমার দে। ধর্মীয় আলোচনা সভা শেষে জগন্নাথদেব,সুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহ নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি সৈয়ারপুর ইস্কন মন্দির থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ইস্কন মন্দিরে এসে শেষ হয়।

এ সময় এমপি নেছার আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে দেশ রক্ষার্থে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এদেশ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের। ধর্মীয় উৎসব মানুষের মনের উদারতা বিকশিত করে। সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।’

উল্লেখ্য,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর।জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর।তার অনুগ্রহ হলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়।জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না।এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রথযাত্রা উপলক্ষে মৌলভীবাজার ইস্কন মন্দির ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, মহাপ্রসাদ বিতরন, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, জগন্নাথের ভোগরাগ, কীর্তন ইত্যাদি। ৮ জুলাই উল্টোরথের মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।