11:31 pm, Thursday, 13 November 2025

রাজনগর সাবরেজিস্ট্রারী অফিস স্থানারের আদেশ নিবন্ধন অধিদপ্তরের : পক্ষে বিপক্ষে প্রতিবাদ নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজনগর সাবরেজিস্ট্রারী অফিস কলেজ পয়েন্টে স্থানান্তর করে জনগনের জনগূরুত্বপূর্ন রেকর্ড সংরক্ষনের সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতাকারী কুচক্রীমহলের অমন্দালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজনগরের সর্বস্থরের জনগন। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরোধীতার নিন্দা জানাতে ৯ ফেব্রুয়ারী “রাজনগর সর্বস্থরের জনগন” এর আয়োজনে রাজনগর সাব- রেজিস্ট্রারী কার্যালয় কলেজ পয়েন্টে স্থানান্তর এবং জনগনের জনগুরুত্বপূর্ন রেকর্ড সংরক্ষনের সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতাকারীদের প্রতি নিন্দা জানাতে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। রাজনগর সাবরেজিষ্ট্রারী অফিসের পুরাতন কোর্ট ভবন বর্তমানে জরার্জীন,স্যাঁত স্যাঁতে মেঝে মূল্যবান রেকর্ড পত্র রাখায় ধ্বংসের মুখামুখি হওয়ায় গনপূর্ত বিভাগের নির্ধারিত ভাড়ায় অফিস স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে কিছু স্বার্থন্বেসী মহল সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতা শুরু করে। মহাগুরুত্বপূর্ন রেকর্ডের কথা বিবেচনা না করে শুধু মাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ভূল বুঝিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চলছে। ১৯৯২ সাল থেকে রাজনগর সাবরেজিস্টারী অফিসের পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ও বিল্ডিং এর ভিতর পানি ঢোকে এ মূল্যবান রেকর্ড পত্রাদি ধ্বংসের মুখামুখি হয়েছে। জনগনের মূল্যবান রেকর্ড পত্র স্যাঁত স্যাঁতে মেঝে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মুল্যবান রেকর্ড পত্রের নিরাপ্তার কথা বিবেচনা করে রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তরের ১৯ জানুয়ারী ১০.০৫.০০০০.০০৩.৯৯.০১৫.২১/০৯ নং স্বারক এবং জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় মৌলভীবাজার এর ২৪ জানুয়ারী ৩৬ নং স্মারকে স্বাক্ষরিত পত্রে নির্দেশ মোতাবেক গনপূর্ত বিভাগ নির্ধারিত ভাড়ায় অফিস স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। নিবন্ধন অধিদপ্তরের সহকারী মহা-পরিদর্শক শেখ মো: আনোয়ারুল হক এর নিদের্শের চ্যালেঞ্জ করে একটি মহল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থানান্তর নিয়ে রাজনগরে বিক্ষোভ মিছিল, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সাবরেজিষ্টারী অফিস স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদের নামে আন্দোলন করে। দলিল লেখকরা কলম বিরতি চালিয়ে যায়। রাজনগর সাবরেজিস্টার আজমেরী নিঝর মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, এখানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এ ছাড়া বিল্ডিং এর নীচ খুব স্যাঁত স্যাঁতে থাকায় এবং ছাদ দিয়ে পানি পড়ায় মুল্যবান কাগজ পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পরিষদের বিল্ডিং হওয়ার কারনে আমাদের ভবন আরো নীচে পড়ে গেছে। এই বছর আরো বেশী করে পানি আমাদের অফিসে প্রবেশ করবে। ফলে রেকর্ড পত্র রক্ষার স্বার্থে অতিসত্বর অফিস স্থানান্তর প্রয়োজন। নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকেও আদেশ এসেছে স্থান্তরের। স্থানীয় রাজনীতিবিদ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মতি রয়েছে। শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক স্টাম্প বিক্রেতা ও দলিল লেখক জনগনের স্বার্থে কথা বিবেচনা না করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যার কারনে আমরা স্থানান্তর করতে পারছি না। আগামী বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যাবে। আমরা আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বর্তমানে রাজনগরের সদরে কোন অফিস করার মতো বাসা না থাকায় রাজনগর কলেজ পয়েন্টে গনপূর্ত বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের বহুতল ভবন হয়ে গেলে আমরা হয়তো ঔই স্থানে চলে আসবো।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা রেজিস্ট্রার সোহেল রানা মিলন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, রাজনগরের অফিস ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় রেকর্ড পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই নিকটবর্তী স্থানে উপযুক্ত কোনো ভবন না থাকায় নিবন্ধন অধিদপ্তরের আদেশ মোতাবেক কলেজ পয়েন্টে ভাড়ায় একটি ভবনে অফিস স্থানান্তরের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টির গুরুত্ব না বুঝে কিছু সংখ্যক মানুষ এর বিরোদ্ধে আন্দোলন করছে। কিন্তু জনগনের স্বার্থে রেকর্ড পত্র রক্ষার জন্য অফিস স্থানান্তর খুবই জরুরী।

রাজনগর সাবরেজিস্টারী অফিস স্থানান্তরের বিষয় এলাকার সচেতন মহল ও সাধারন মানুষের ধারনা সাবরেজিস্টারী অফিসের মূল্যবান কাগজ পত্র রক্ষার না করলে মুল্যবান রেকর্ড পত্র নষ্ট হলে এলাকায় জাল-জালিয়াতি বেড়ে যাবে বলে আশংকা রয়েছে। অফিস স্থানান্তরের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

Popular Post

জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতায় গেলে সকলকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করা হবে- এড. আব্দুর রব

রাজনগর সাবরেজিস্ট্রারী অফিস স্থানারের আদেশ নিবন্ধন অধিদপ্তরের : পক্ষে বিপক্ষে প্রতিবাদ নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

Update Time : 02:25:11 pm, Wednesday, 9 February 2022

স্টাফ রিপোর্টার: রাজনগর সাবরেজিস্ট্রারী অফিস কলেজ পয়েন্টে স্থানান্তর করে জনগনের জনগূরুত্বপূর্ন রেকর্ড সংরক্ষনের সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতাকারী কুচক্রীমহলের অমন্দালনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজনগরের সর্বস্থরের জনগন। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরোধীতার নিন্দা জানাতে ৯ ফেব্রুয়ারী “রাজনগর সর্বস্থরের জনগন” এর আয়োজনে রাজনগর সাব- রেজিস্ট্রারী কার্যালয় কলেজ পয়েন্টে স্থানান্তর এবং জনগনের জনগুরুত্বপূর্ন রেকর্ড সংরক্ষনের সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতাকারীদের প্রতি নিন্দা জানাতে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। রাজনগর সাবরেজিষ্ট্রারী অফিসের পুরাতন কোর্ট ভবন বর্তমানে জরার্জীন,স্যাঁত স্যাঁতে মেঝে মূল্যবান রেকর্ড পত্র রাখায় ধ্বংসের মুখামুখি হওয়ায় গনপূর্ত বিভাগের নির্ধারিত ভাড়ায় অফিস স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে কিছু স্বার্থন্বেসী মহল সরকারী সিন্ধান্তের বিরোধীতা শুরু করে। মহাগুরুত্বপূর্ন রেকর্ডের কথা বিবেচনা না করে শুধু মাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ভূল বুঝিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চলছে। ১৯৯২ সাল থেকে রাজনগর সাবরেজিস্টারী অফিসের পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ও বিল্ডিং এর ভিতর পানি ঢোকে এ মূল্যবান রেকর্ড পত্রাদি ধ্বংসের মুখামুখি হয়েছে। জনগনের মূল্যবান রেকর্ড পত্র স্যাঁত স্যাঁতে মেঝে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মুল্যবান রেকর্ড পত্রের নিরাপ্তার কথা বিবেচনা করে রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তরের ১৯ জানুয়ারী ১০.০৫.০০০০.০০৩.৯৯.০১৫.২১/০৯ নং স্বারক এবং জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় মৌলভীবাজার এর ২৪ জানুয়ারী ৩৬ নং স্মারকে স্বাক্ষরিত পত্রে নির্দেশ মোতাবেক গনপূর্ত বিভাগ নির্ধারিত ভাড়ায় অফিস স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। নিবন্ধন অধিদপ্তরের সহকারী মহা-পরিদর্শক শেখ মো: আনোয়ারুল হক এর নিদের্শের চ্যালেঞ্জ করে একটি মহল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থানান্তর নিয়ে রাজনগরে বিক্ষোভ মিছিল, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সাবরেজিষ্টারী অফিস স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদের নামে আন্দোলন করে। দলিল লেখকরা কলম বিরতি চালিয়ে যায়। রাজনগর সাবরেজিস্টার আজমেরী নিঝর মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, এখানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এ ছাড়া বিল্ডিং এর নীচ খুব স্যাঁত স্যাঁতে থাকায় এবং ছাদ দিয়ে পানি পড়ায় মুল্যবান কাগজ পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পরিষদের বিল্ডিং হওয়ার কারনে আমাদের ভবন আরো নীচে পড়ে গেছে। এই বছর আরো বেশী করে পানি আমাদের অফিসে প্রবেশ করবে। ফলে রেকর্ড পত্র রক্ষার স্বার্থে অতিসত্বর অফিস স্থানান্তর প্রয়োজন। নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকেও আদেশ এসেছে স্থান্তরের। স্থানীয় রাজনীতিবিদ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মতি রয়েছে। শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক স্টাম্প বিক্রেতা ও দলিল লেখক জনগনের স্বার্থে কথা বিবেচনা না করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যার কারনে আমরা স্থানান্তর করতে পারছি না। আগামী বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যাবে। আমরা আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বর্তমানে রাজনগরের সদরে কোন অফিস করার মতো বাসা না থাকায় রাজনগর কলেজ পয়েন্টে গনপূর্ত বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের বহুতল ভবন হয়ে গেলে আমরা হয়তো ঔই স্থানে চলে আসবো।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা রেজিস্ট্রার সোহেল রানা মিলন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, রাজনগরের অফিস ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় রেকর্ড পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই নিকটবর্তী স্থানে উপযুক্ত কোনো ভবন না থাকায় নিবন্ধন অধিদপ্তরের আদেশ মোতাবেক কলেজ পয়েন্টে ভাড়ায় একটি ভবনে অফিস স্থানান্তরের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টির গুরুত্ব না বুঝে কিছু সংখ্যক মানুষ এর বিরোদ্ধে আন্দোলন করছে। কিন্তু জনগনের স্বার্থে রেকর্ড পত্র রক্ষার জন্য অফিস স্থানান্তর খুবই জরুরী।

রাজনগর সাবরেজিস্টারী অফিস স্থানান্তরের বিষয় এলাকার সচেতন মহল ও সাধারন মানুষের ধারনা সাবরেজিস্টারী অফিসের মূল্যবান কাগজ পত্র রক্ষার না করলে মুল্যবান রেকর্ড পত্র নষ্ট হলে এলাকায় জাল-জালিয়াতি বেড়ে যাবে বলে আশংকা রয়েছে। অফিস স্থানান্তরের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।