9:54 am, Tuesday, 18 November 2025

শ্রীমঙ্গলে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩দিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে চায়ের রাজধানী খ্যাত দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩দিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র(বিটিআরআই) সংলগ্ন কাকিয়াছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্ঠার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্তিত থাকবেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

হারমোনি ফেস্টিভ্যাল স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণের প্রদর্শনীসহ এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু সব খাবারের পসরা বসবে মেলায়।

জানাযায়, অঞ্চলভিত্তিক এ ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ মেলাকে সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তারা স্থানীয় ট্যুর অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। নৃ-জাতি গোষ্ঠীর বর্ণিল জীবন ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই হারমোনি ফেস্টিভাল আগামী ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি (শুক্র, শনি ও রবিবার) সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

উৎসবে খাসিয়া, গারো, মণিপুরী, ত্রিপুরা, সবর, খাড়িয়া, রিকিয়াসন, বারাইক, কন্দ, রাজবল্বব, ভূঁইয়া, সাঁওতাল, ওরাও, গড়াইত, মুন্ডা, কুর্মী, ভুমিজ, বুনারাজি, লোহার, গঞ্জু, কড়া জনগোষ্ঠী অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় তাদের বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রস্তুুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহনকারীরা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল ও সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হবে ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে। এছাড়া মেলায় ৪৪টি স্টলের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য, খাবার, জীবনাচার, পোশাক ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিক্রয় করবে। এছাড়াও তাদের সংস্কৃতি, নাচ-গান, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বিষয়াদি মঞ্চে পারফরমেন্স করবেন।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

শ্রীমঙ্গলে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩দিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’

Update Time : 11:07:04 am, Thursday, 9 January 2025

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে চায়ের রাজধানী খ্যাত দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩দিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র(বিটিআরআই) সংলগ্ন কাকিয়াছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্ঠার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্তিত থাকবেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

হারমোনি ফেস্টিভ্যাল স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণের প্রদর্শনীসহ এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু সব খাবারের পসরা বসবে মেলায়।

জানাযায়, অঞ্চলভিত্তিক এ ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ মেলাকে সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তারা স্থানীয় ট্যুর অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। নৃ-জাতি গোষ্ঠীর বর্ণিল জীবন ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই হারমোনি ফেস্টিভাল আগামী ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি (শুক্র, শনি ও রবিবার) সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

উৎসবে খাসিয়া, গারো, মণিপুরী, ত্রিপুরা, সবর, খাড়িয়া, রিকিয়াসন, বারাইক, কন্দ, রাজবল্বব, ভূঁইয়া, সাঁওতাল, ওরাও, গড়াইত, মুন্ডা, কুর্মী, ভুমিজ, বুনারাজি, লোহার, গঞ্জু, কড়া জনগোষ্ঠী অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় তাদের বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রস্তুুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহনকারীরা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল ও সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হবে ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে। এছাড়া মেলায় ৪৪টি স্টলের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য, খাবার, জীবনাচার, পোশাক ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিক্রয় করবে। এছাড়াও তাদের সংস্কৃতি, নাচ-গান, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বিষয়াদি মঞ্চে পারফরমেন্স করবেন।