ক্রীড়া ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের খেলতে না চাওয়া নিয়ে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
এবারে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, যদি খেলতে না চায়, তবে সাকিবকে অনুরোধ করার কিছু নেই।
সাকিবের ব্যাপারে কেয়ার করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আজ সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “সাকিব যদি খেলতে না চায়, বিসিবি ডোন্ট কেয়ার।”
“কেউ যদি খেলতে না চায় তাঁর জন্য বাংলাদেশ দল বসে থাকবে এটা ভুল চিন্তা। ওকে রিকোয়েস্ট করার কিছুই নেই, ও তো আমাদের এমপ্লয়ি।”
সাকিবের এখন থামার সময় হয়েছে বলছেন বলে মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, “সাকিব বিসিবি চালাতে পারে না। সে বলতে পারে না, আমি আজ খেলবো কাল খেলবো না।”
সাকিব ছাড়াও এই মুহূর্তে তামিম ইকবাল ছয় মাসের জন্য টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতি নিয়েছেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যতদিন বায়ো-বাবল থাকবে তিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না।
সাকিবের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠেছে, সাকিব নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছেন না।
খালেদ মাহমুদ সুজনের মতে, “একজন খেলোয়াড় যখন একটানা বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকে, তখন সে ব্রেক চাইতেই পারে। তবে সাকিব এটা আরো আগেই বলতে পারতো।”
‘নো কমেন্টস’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বিমানে উঠতে যখন তিনদিনও বাকি নেই, তখন সাকিব আল হাসানের গণমাধ্যমে বক্তব্য তোলপাড় ফেলে দেয় ক্রিকেট পাড়ায়।
সাকিব রবিবার রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ক্রিকেট খেলার মতো মানসিক ও শারীরিক অবস্থায় নেই।
তবে এটা যে প্রথমবার নয় সেটাও মনে করিয়ে দিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন, “সাকিব যে এইরকম, সেটা তো আমরা সবাই জানি। তবে এটা মেনে নেয়াটা অবশ্যই ঠিক না। সাকিব-তামিম-রিয়াদ-মুশফিক ওরা তো ছোটবেলা থেকে পাইপ-লাইনে থেকেই এতো বড় ক্রিকেটার হয়েছে।”
এর আগে গত রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও কড়া ভাষায় সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, “যদি এই সময়ে আইপিএল থাকতো তবে কি সে ছুটি নিতো”?
খালেদ মাহমুদ সুজন ও নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য নিয়ে সাকিবের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “নো কমেন্টস”।
সাকিব আল হাসান রবিবার কী বলেছিলেন?
একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিতে দুবাই যাওয়ার আগে ঢাকার বিমানবন্দরে রবিবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সাকিব আল হাসান।
এসময় তিনি যেসব মন্তব্য করেন তার অনেকগুলোই ছিলো পরস্পরবিরোধী।
প্রথমে তিনি বলেছেন “দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথেই যাবো” – কিন্তু পরে বলেছেন “এমনও হতে পারে ওয়ানডে না খেলে টেস্ট খেলতে পারেন”।
আবার একই সাথে এটাও বলেছেন, তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের নয়, অন্তত ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অর্থাৎ নয় মাসের ছুটি চেয়েছেন বোর্ডের কাছে।
আবার বলেছেন, তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত ‘ফিল করছেন না।’
অতীত অভিজ্ঞতা বলছে- ২০১৯ সালে তিনি নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি, ২০২০ সালে ছিল নিষেধাজ্ঞা, ২০২১ সালে সাকিব গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলেননি তিনি।
এরপর ২০২২ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে নাম সরিয়ে নেন সাকিব আল হাসান । এখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

নিজস্ব প্রতিবেদক 




























