9:17 pm, Friday, 14 November 2025

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কমলগঞ্জের ২২টি চা বাগানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২২টি চা বাগানে চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ৩য় দিনের মতো সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে সকালে প্রতিটি চা বাগানের কারখানার সামনে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালনসহ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চা শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি ও নুরজাহান চা বাগানে কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালীর স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে কর্মবিরতি চলছে। এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন, ফুলবাড়ি চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নিরঞ্জন পাল, ইউপি সদস্যা সীতা রানী কর্মকার, দুলাল সাওতাল, নুরজাহান চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি কৃষ্ণলাল দেশোয়ারা প্রমুখ।
এদিকে মনু ধলাই ভ্যালীর সভাপতি ধনা বাউরী জানান, চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত ৩ বছর ধরে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা শ্রমিকের মজুরি ৩’শত টাকায় উন্নীত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সকল চা বাগানে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। তিনি আরো বলেন, ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে দেশের সব বাগান একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরি বলেন, মজুরি বোর্ডের কাছে তাদের প্রস্তাব হলো দৈনিক মুজুরী ৩০০টাকা নুন্যতম করতে হবে আর মজুরি বোর্ডের যে ১২০টাকা করে যে চুড়ান্ত করেছে বা গেজেটের অপেক্ষায় সেটার নিন্দা জানান। প্রতি সপ্তাহের নিজ নিজ বাগানে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষীক শ্রমচুক্তি বিলম্বিত হবার প্রতিবাদে ২ ঘন্টার কর্মবিরতিসহ প্রতিবাদ সভা করবে। শুক্রবারও এ কর্মসুচী চলবে। যদি কোন সমাধান না আসে তাহলে পরবর্তীতে সারাদেশে চা শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

 

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

Popular Post

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ইসরাঈল হোসেন বদলি হয়েছেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তৌহিদুজ্জামান পাভেল

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কমলগঞ্জের ২২টি চা বাগানে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : 09:19:29 am, Friday, 12 August 2022

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২২টি চা বাগানে চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ৩য় দিনের মতো সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে সকালে প্রতিটি চা বাগানের কারখানার সামনে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালনসহ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চা শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি ও নুরজাহান চা বাগানে কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালীর স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে কর্মবিরতি চলছে। এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন, ফুলবাড়ি চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নিরঞ্জন পাল, ইউপি সদস্যা সীতা রানী কর্মকার, দুলাল সাওতাল, নুরজাহান চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি কৃষ্ণলাল দেশোয়ারা প্রমুখ।
এদিকে মনু ধলাই ভ্যালীর সভাপতি ধনা বাউরী জানান, চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত ৩ বছর ধরে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা শ্রমিকের মজুরি ৩’শত টাকায় উন্নীত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সকল চা বাগানে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। তিনি আরো বলেন, ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে দেশের সব বাগান একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরি বলেন, মজুরি বোর্ডের কাছে তাদের প্রস্তাব হলো দৈনিক মুজুরী ৩০০টাকা নুন্যতম করতে হবে আর মজুরি বোর্ডের যে ১২০টাকা করে যে চুড়ান্ত করেছে বা গেজেটের অপেক্ষায় সেটার নিন্দা জানান। প্রতি সপ্তাহের নিজ নিজ বাগানে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষীক শ্রমচুক্তি বিলম্বিত হবার প্রতিবাদে ২ ঘন্টার কর্মবিরতিসহ প্রতিবাদ সভা করবে। শুক্রবারও এ কর্মসুচী চলবে। যদি কোন সমাধান না আসে তাহলে পরবর্তীতে সারাদেশে চা শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।