1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম

শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করার প্রত্যয় ‘শিল্পী সমাজের’

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ডাকা অবরোধে দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বিভিন্ন তথ্য ও চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে দেশের শিল্পী সমাজ।

শনিবার হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পী সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তারা এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আমার বাচ্চারা আজ বন্ধের দিনে পরীক্ষা দিচ্ছে। অবরোধের কারণে তারা রবিবার অনলাইন ক্লাস করছে। বাচ্চারা যখন এ বিষয়গুলো জানতে চায় আমরা উত্তর দিতে পারি না। তারা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। এখনকার শিক্ষার্থীরা হরতাল-অবরোধ চায় না, কারণ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠছে। বর্তমান সরকারের দোষ কী? পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করেছে এগুলো? এগুলো কারও দোষ হলে আমরা সেই দোষীর পক্ষেই রয়েছি। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনরায় জয়ী করতেই সকল শিল্পী সমাজ এখানে দাঁড়িয়েছে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘চলুন আগামী ৭ জানুয়ারি আমরা আরও একবার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসি। কারণ শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও ওপর আমাদের আস্থা নেই। শেখ হাসিনাতেই আমাদের আস্থা, শেখ হাসিনাতেই আমাদের বিশ্বাস। শেখ হাসিনার হাতে আমাদের দেশ সবচেয়ে নিরাপদ।’
ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পী সমাজ:নায়িকা নিপুণ বলেন, ‘শেখ হাসিনাতেই আমার আস্থা। আমি অভিনেত্রী থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছি শেখ হাসিনার কারণেই। আজ যারা নারী উদ্যোক্তা হয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই হয়েছে, কারণ তিনি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কোনও ভ্যাট রাখছেন না। আপনারা যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছেন, যার কারণে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন-আপনারা কি আবারও হরতাল-অবরোধে অস্থিতিশীল দেশ চান? আমরা কোভিডের সময়ও ব্যবসায় এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, যতটা এই হরতাল-অবরোধের কারণে হচ্ছে। তাই আমি বলবো, আমার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য সামনের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’
অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আজ আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় থাকার কথা থাকলেও আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি বিএনপি যে নৃশংসতা সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। তারাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছে। তারাই আজ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করছে। তাদের এই নৃশংসতা দেশদ্রোহীতার শামিল বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দিলেও এই দেশবিরোধী চক্র দেশকে ব্যর্থ করতে পায়তারা করছে।’
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি প্রধামন্ত্রীর পক্ষে কাজ করার জন্য, তাকে আবারও বিপুল ভোটে সবগুলো আসন উপহার দেওয়ার জন্য। সেজন্য যেভাবে কাজ করা দরকার, আমরা শিল্পীরা সেভাবে মাঠে থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনোভাবে বিএনপি এদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করুক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি, শিল্পী সমাজ আজ এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রয়েছে।
অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘শহীদ পরিবার আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে। আমরা দেখেছি এক সময় তাদেরকে এই দেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ সব সময় সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তারা সত্যকে লালন করে, সত্যের জন্য কথা বলেছে। আর সেই সত্যটি হলো মুক্তিযুদ্ধ। সবাই বলে সংলাপ করেন, সবার সাথে সংলাপ করেন। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীন রাষ্ট্রে যারা বিশ্বাস করেনি, স্বাধীন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যারা ছিল, তাদের সঙ্গে বসে কখনও দেশ বিনির্মাণের গল্প হয় না।’

মানববন্ধনে বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন- তারিন জাহান বলেন, ‘আমি এদেশের নাগরিক এবং একজন শিল্পী। একজন নাগরিক হিসেবে আমার চাহিদা দেশের উন্নয়ন, আমার নিরাপত্তা। সেটি কে নিশ্চিত করছে তা বোঝার যথেষ্ট বোধ আমার রয়েছে। যারা রাজনীতি করেন, তারা নিশ্চয়ই একটি রাজনৈতিক আদর্শ নিয়েই করেন। আমরা দেখছি একটি দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনা নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে আরেকটি দল বলছে জনগণের জন্য রাজনীতি করছে। কিন্তু তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে মারছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলি, মুক্তিযু্দ্ধের পক্ষে দাঁড়াই তাদের নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ট্রল করা হয়। বলা হয় আমরা নাকি দালাল, আমরা নাকি তেলবাজি করছি। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ, আমরা সারা জীবন তাই করে যাবো। আপনাদের ভালো লাগলে লাগুক, না লাগলে আমাদের কিছুই করার নেই।’

নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘জনগণের জানমাল ধ্বংস করে মানুষের পেটে লাথি মেরে কীভাবে আন্দোলন করে। শীতকালের সবজি বিক্রি করার সময়, কিন্তু এই অবরোধের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ বিএনপি বলে তারা নাকি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে। যারা দিনে আনে দিনে খায় তারা এমন শ্রমিকদের বাসে আগুন দেয়। বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তয়নে কাজ করছে তারা। এদেশের স্বার্থ নষ্ট করে বিদেশিদের হাতে দেশকে তুলে দিতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরাই মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে ছিল, আর এখন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এসে দেশকে নিয়ে তামাশা করছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে।এ সময় শিল্পীরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী জোতিকা জ্যোতি, মুক্তিযোদ্ধা বিচ্চু জালাল, তানভিন সুইটি, অভিনেতা তুষার খান, সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ, এসডি রুবেল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলুসহ অনেক শিল্পী ও পরিচালক।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..