বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রকৃতিতে লেগেছে বর্ষার ছোঁয়া। গ্রীষ্মের দাবদাহ কাটিয়ে শুরু হয়েছে বর্ষা ঋতু। এসেছে আষাঢ়ের বৃষ্টিমুখর দিন। অথচ এই বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ায় তাপমাত্রা এবং জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অনেকেরই ত্বকে নানা রোগের আধিক্য দেখা দেয়। প্রচণ্ড গরমে অতিরিক্ত ঘাম, বাতাসে জলীয়বাষ্প ও প্রখর সূর্যালোকের কারণে পরজীবী, ফাঙ্গাস এমনকি ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের রোগের পাশাপাশি প্রদাহজনিত রোগও দেখা দিতে পারে।
বর্ষাকালে উচ্চ তাপমাত্রা এবং জলীয় বাষ্প ত্বকে ফাঙ্গাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বগল, কুচকি, হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে, নখে বা শরীরের অন্য যেকোনও জায়গায় ফাঙ্গাস বৃদ্ধি পেয়ে নানা রোগের সৃষ্টি করে। চুলকানি, লালচে চাকা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।
বর্ষা মৌসুমে ফাঙ্গাসের মতো ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন- চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি উঠে পুঁজ হতে পারে। ত্বকে পরজীবী আক্রান্ত স্ক্যাবিস বা খোসপচড়া দেখা দিতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা, ঘাম এবং তৈলাক্ত ত্বকের কারণে একজিমা, সোরিয়াসিস, মেছতা, ঘামাচি এবং ব্রণ বেড়ে যেতে পারে।
বর্ষায় ত্বকের সুরক্ষা:
১. নিয়মিত গোসল, হাত, পা, মুখ পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখতে হবে।
২. আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তুর তৈরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতে হবে।
৩. আন্ডার গার্মেন্টস একবার ব্যবহার করার পর না ধুয়ে পরা যাবে না।
৪. রোদ ও বৃষ্টি এড়িয়ে চলতে ছাতা ব্যবহার করার বিকল্প নেই। ত্বকের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে সানস্ক্রিন বা সানব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. কৃত্রিম জুয়েলারি ব্যবহার না করাই ভালো। বর্ষা মৌসুমে নাক-কান ফোড়ানো, শরীরে ট্যাটু আঁকা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. ত্বকে যেকোনও ধরনের লক্ষণ অনুভূত হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।