সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দুই বিষয় সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ পিপিএম।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং মামার বাড়ির সাথে ঝামেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কারণ হিফজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকেই মামার বাড়িতে থাকছেন। এটি হয়তো মামার বাড়ির লোকজন ভালোভাবে নেননি। সেজন্য হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। এছাড়া হিফজুর রহমানের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেও এটি হতে পারে। আমরা মূলত এসব বিষয় সামনে রেখেই প্রাথমিক তদন্ত করছি।
তিনি আরও বলেন- ঘটনার আগে এবং পরে এই ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেখেননি কেউ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আমরা যে বটি দা উদ্ধার করেছি তা কুমড়া পাতা দিয়ে মোড়ানো ছিল। সেজন্য হিফজুর রহমানকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১৭ জুন) সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তার ছেলে মিজান (১০) ও মেয়ে তানিশা (৩)।
এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আলিমা বেগমের স্বামী হিফজুর রহমান। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশীরা হিফজুরের ঘরের সামনে যান। ভেতর থেকে শব্দ শুনে তারা দরজায় ধাক্কা দেন। এসময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। ভেতরে প্রবেশ করে খাটের মধ্যে তিন জনের জবাই করা ও কুপানো মরদেহ ও হিফজুরকে রক্তাক্ত দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই মহসিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করেন এবং হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠান। হিফজুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ ছিল।