শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এ বছর আন্তর্জাতিক কোনো খেলাতে ছিলেন না। আগামী বছর জাতীয় দলে ফেরাও অনিশ্চিত। তিনি যে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না, তা জাতীয় দল নির্বাচকদের মুখ থেকে শোনার প্রয়োজন হয় না। সম্প্রতি জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা ক্রিকেটারদেরও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেওয়া হচ্ছে না। গত দুই বছরের পারফরম্যান্স ও আগামী বছর জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার নির্বাচন করা হয় বলে জানায় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
সে হিসাবে এ বছর ধারাবাহিক জাতীয় দলে খেলার পুরস্কার পাচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়। ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেওয়া হচ্ছে তাকে। এ রকম যোগ-বিয়োগ করে নতুন চুক্তির ক্রিকেটার বাছাই করে বিসিবিতে তালিকা জমা দিয়েছেন নির্বাচকরা, যেখানে রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। বর্তমান বাস্তবতায় তামিমকে না রাখা বিস্ময়কর কিছু নয়। কারণ বাঁহাতি এ ওপেনারের চুক্তিতে থাকা না থাকা নির্ভর করছে জাতীয় দলে খেলা না খেলার ওপর। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললে চুক্তিতে থাকবেন না, এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি জাতীয় দলের খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান জালাল ইউনুস।
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের তালিকা অনুমোদন করা হবে। জাতীয় নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় এ সভায় তামিমের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটা সমঝোতা বৈঠকও করেছেন তিনি। বিসিবি কর্মকর্তারা মনে করছেন, কিছু শর্ত কার্যকর করা হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারেন তামিম। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ এবং সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক না রাখা হলে জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা আছে তাঁর। তবে কি তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ?
কারণ হাথুরুসিংহে ও সাকিব দু’জনই থাকছেন। সেদিক থেকে বলাই যায়, তামিমকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা করে ফেলেছে বিসিবি। তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, এনামুল হক বিজয়রা এখনই কেন্দ্রীয় চুক্তি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব এশিয়া কাপ থেকে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হলেও আগামী এক বছর সিরিজভিত্তিক বেতন দেওয়া হবে তাদের। সৌম্য সরকার জাতীয় দলে নিয়মিত হলে ২০২৫ সালে চুক্তিতে ফিরতে পারেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ২০২৩ সালে টেস্ট আর টি২০র চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁকে এবার শুধু টেস্টের চুক্তিতে রাখা হতে পারে।
সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন সংস্করণের ক্রিকেটার। এবার সেখানে যোগ হতে পারেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পেসার এবাদত হাঁটুর চোটের কারণে খেলতে না পারলেও চুক্তিতে থাকছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওয়ানডেতে; মুমিনুল হক, খালেদ আহমেদ, জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় টেস্টের ক্রিকেটার।
মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদি, আফিফ হোসেন সাদা বলের চুক্তির ক্রিকেটার। এভাবে ২১ জনের একটা তালিকা কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য বিসিবিতে সুপারিশ করেছেন জাতীয় দল নির্বাচকরা। এই তালিকায় এক বা দু’জনকে যোগ করতে পারে বোর্ড। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলে তানজিদ হাসান তামিমকে চুক্তিভুক্ত করতে পারেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
কেন্দ্রীয় চুক্তির সম্ভাব্য ক্রিকেটার: সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, জাকির হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী, হাসান মাহমুদ, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয়, নুরুল হাসান সোহান ও রনি তালুকদার।