শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো সীমিত ওভারের ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি নাজমুল হোসেন শান্তর। কারণ, তার অধীনেই যে ঐতিহাসিক জয়টি পেয়েছে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে দেওয়া বক্তব্যে শান্তর অঙ্গভঙ্গিতে যেন আত্মতৃপ্তির রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বক্তব্যে শান্ত বলেছেন, ‘ক্রিকেটাররা যেভাবে এই ম্যাচ খেলেছেন তাতে সত্যিই গর্বিত। সিরিজের আগে আমরা ভেবেছিলাম, এই সিরিজ জিততে পারবো। প্রথম দুই ম্যাচ জিততে না পারলেও সৌভাগ্যক্রমে আজ আমরা জিততে পেরেছি। বোলাররা অনেক কিছু শিখেছেন। তারা ভালো এরিয়া বাছাই করে বোলিং করছিল, নিজের উইকেট খুঁজতে যায়নি। আজ বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে খুশি। আমি (বোলারদের) চাপ দেওয়ার চেষ্টা করিনি, শুধু আমার নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি এবং আমার নিজের কাজের ওপর মনোযোগ দিয়েছি।’
শান্ত আরও বলেন, ‘এই ম্যাচ জয় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাসী (টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য) করে দেয়, যদিও টি-টোয়েন্টি একটি ভিন্ন ফরম্যাট এবং আমরা সেই অনুযায়ীই পরিকল্পনা করবো। আমরা কিছু জায়গায় (নেপিয়ারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে) যাওয়ার পরিকল্পনা করছি, তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে টি-টোয়েন্টি খেলতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার ভোরে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে রান তাড়ায় ম্যাচ জেতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
নেপিয়ারে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ। এতে টাইগাররা তিন ম্যাচ সিরিজ শেষ করেছে ২-১ ব্যবধানে হেরে।
অল্প রান তাড়ায় আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। দুুর্ভাগ্যজনকভাবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাত্র ৪ রানেই ফিরে যেতে হয়েছে সৌম্যকে। এরপর মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫০ বলের জুটিতে ৬৯ রান তুলে তারা জয় বলতে গেলে নিশ্চিত করে ফেলেন। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে আসেন বিজয়। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
অধিনায়ক শান্ত জয়সূচক রান নেওয়ার পাশাপাশি ফিফটিও পূরণ করেন। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।