1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ব্যথা কমাতে ঠান্ডা না-কি গরম সেঁক বেশি উপকারী?

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
  • ২২৮ বার পঠিত

ব্যথা কমানোর সবচেয়ে পুরোনো একটি চিকিৎসা হলো ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া। এই দু’টি পদ্ধতিই ব্যথা বা আঘাত, ফোলা বা জ্বালাপোড়া কমাতে বেশ কার্যকরী। তবে কোন পরিস্থিতিতে কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করা উচিত, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।

তাই সবসময় মনে রাখবেন পেশির ব্যথা কমাতে গরম সেঁক আর যেকোনো পোড়া বা ফোলা ব্যথা কমাতে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া উচিত। অনেক সময় চিকিৎসক আঘাতের অবস্থা বুঝে দুইটির সমন্বিত পদ্ধতির পরামর্শ দিতে পারেন। চলুন তবে ব্যথা কমানোর দুই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

থার্মোথেরাপি বা গরম সেঁক

যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে গরম সেঁক দিলে, ওই স্থানের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এমনকি একটু বেশি গরম সেঁক দিলে ব্যথার উপশম দ্রুত হয়। এর ফলে আঘাতপ্রাপ্ত পেশি নড়াচড়া করাটা সহজসাধ্য হয়।

অনেক সময় চিকিৎসকরা ভারি কাজ করার পূর্বে হট শাওয়ার নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর ফলে শরীরের পেশিগুলো শিথিল হয়। তবে মনে রাখবেন, কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া বা ফোলা ব্যথাতে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। এতে করে কাঁটা স্থানে রক্ত চলাচল আরও বেড়ে গিয়ে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

যেসব ক্ষেত্রে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে-

– মচকানো
– টান লাগা
-অস্টিওআর্থারাইটিস
– পেশি টিস্যুর ব্যথা
– পিঠ বা কোমর ব্যথা

এই গরম সেঁক আবার দুই ধরনের হতে পারে-

১. ড্রাই হিট বা শুষ্ক তাপ: সাধারণত ইলেক্ট্রিক হিটিং প্যাড, হট ওয়াটার বোতল, স্টীম বাথ ইত্যাদির মাধ্যমে যে সেঁক দেয়া হয়, সেগুলো ড্রাই হিটের অন্তর্ভুক্ত। এটি ব্যবহার খুব সহজ।

২. ময়েস্ট হিট বা আর্দ্র তাপ: মূলত স্টীমড তোয়ালে বা আর্দ্র গরম পানির ব্যাগ দিয়ে যে সেঁক দেয়া হয় সেটি ময়েস্ট হিট। বাড়িতে হাতের কাছের উপকরণ দিয়ে সহজেই এই সেঁক দেওয়া যায়। ছোটো খাটো আঘাতের ক্ষেত্রে এ সেঁকটি ১৫-২০ মিনিট দিতে হয়। আর মাঝারি আঘাতের ক্ষেত্রে হট শাওয়ার নেওয়া যেতে পারে।

সতর্কতা: কখনো এই হিট থেরাপি কাঁটাস্থান বা জালাপোড়ায় দেওয়া যাবে না। গর্ভবতী নারী কিংবা ডায়াবেটিস রোগীরা এই পদ্ধতি অনুসরণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত গরম সেঁক দিলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।

কোল্ড থেরাপি বা ক্রায়োথেরাপি

ক্রায়োথেরাপির মাধ্যমে মূলত ক্ষতস্থান বা প্রদাহে সাময়িকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ থাকে। এর মাধ্যমে ক্ষতস্থানে তীব্র ঠান্ডা প্রয়োগের কারণে ক্ষতস্থানের টিস্যুগুলো ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পায়। যেকোনো স্থানে ব্যথা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রায়োথেরাপি কার্যকরী। তবে কখনোই ক্ষতস্থানে সরাসরি বরফ দেয়া যাবে না। এতে আরো বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

যেসব স্থানে ক্রায়োথেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে –

-সাময়িক আঘাত
– মাইগ্রেন
– অস্টিওআর্থ্রাইটিস
– আকস্মিক টান

ক্রায়োথেরাপি বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা যেতে, যেমন-

১. ক্রায়োথেরাপি উপকরণ: আইস ব্যাগ, আইস মেসাজ, কুলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করে ক্রায়োথেরাপি করা যায়।

২. ক্রায়োস্ট্রেচিং: এর মাধ্যমে মূলত তাপমাত্রা কমিয়ে পেশি শিথিল করা হয়।

৩. ক্রায়োকাইনেটিক্স: এটি মূলত ঠান্ডা চিকিৎসা ও ব্যয়ামের একটি সমন্বিত পদ্ধতি। পেশির লিগামেন্টে আঘাত লাগলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

৪. আইস বাথ: এর মাধ্যমে সাধারণত বরফ কাপড় বা ব্যাগে নিয়ে ক্ষতস্থানে ১৫-২০ মিনিট প্রয়োগ করা হয়। এর বেশি সময় রাখলে চামড়া, স্নায়ু ও টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।

হার্টের রোগীরা এই থেরাপি নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি কার্যকরী না হলেও ডাক্তার দেখাতে হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..