শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে বর্তমান আওয়ামী সরকার নির্বিচার হামলা ও জীবন কেড়ে নিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশাহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এর দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে।
গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। বিএনপির দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ, বিএনপি নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অন্য অনেককে গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করতে সরকারের গুলি, মধুপুরের পীর আবদুল হামিদসহ অসংখ্য মানুষকে গুলি ছুড়ে আহত করা এবং দমন-নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত দুই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আজও (গতকাল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংসতা ও নির্মমতার বিরুদ্ধে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কাজ না করে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীনরা। কিন্তু এ দেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সব স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ অতলে তলিয়ে যাবে। বিবৃতিতে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।