সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : তুলনামূলক কম শক্তিশালী দল নিয়েও বিপিএলের গত আসরের ফাইনালিস্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জয়ের সেই ধারা অবশ্য ধরে রাখা হলো দলটির। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরে গেছে খুলনা টাইগার্সের কাছে। খুলনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে ৪ উইকেটে।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) টসে জিতে চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলটিকে মাত্র ১২১ রানেই বেঁধে ফেলে তারা। সেই তাড়ায় নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না খুলনাও। শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।
রান তাড়ায় নেমে দলীয় ১২ রানেই এভিন লুইসকে হারায় খুলনা। এরপর ৯ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও। সমান রানে বিদায় নেন তিনে নামা শাই হোপও। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন আফিফ ও জয়। দুইজন মিলে করে ৫১ বলে ৪৬ রান। ২৬ রানে আফিফকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন নিহাদুজ্জামান। জয়ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪৪ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে উইকেট হারান তিনি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের অপরাজিত ১৫ রানে জয় তুলে নেয় খুলনা।
চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন আল আমিন ও শহিদুল। একটি করে উইকেট পান বিলাল খান ও নিহাদুজ্জামান।
এর আগে, টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। খুলনা বোলারদের বোলিং তোপে ইনিংস শেষ হওয়ার ১ বল আগেই অলআউট হয় চট্টগ্রাম। দলটির রান এক শ পার হওয়ার বড় কৃতিত্ব পেসার শহীদুল ইসলামের। তার ৪০ রানেই সম্মানজনক স্কোর পায় চট্টগ্রাম।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৯ রানেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। নাহিদুল ইসলাম তুলে নেন আভিস্কা ফার্নান্দো (8) ও ইমরান উজ্জামানের (০) উইকেট। পরে দলটির আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকেও (১৯) ফেরান এই স্পিনার। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন নাহিদুল।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি চট্টগ্রামের। মাঝে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ২৪ এবং শেষ শহীদুলের ৪০ রানের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১২১ রানের পুঁজি পায় দলটি। নাহিদুল ফেরান নাজিবুল্লাহকেও। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন চট্টগ্রামকে অল্পতেই বেঁধে ফেলার বাকি কাজটুকু করেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ।