1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিলেতে নতুন প্রজন্মের ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) প্রথম ব্রিটিশ বাঙালি নারী বিজ্ঞানী হয়ে কমিউনিটির মূখ উজ্জ্বল করেছেন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
  • ৬৩৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: বিলেতের সুপরিচিত সাংবাদিক এবং লেখক রফিকুল হায়দার (দেওয়ান ফয়সল) ও মিসেস জোছনা আরা হায়দার এর বড় মেয়ে ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) সম্প্রতি ডক্টরেট অর্জন করে লন্ডনের কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে একজন সায়েন্টিস্ট (বিজ্ঞানী) হিসেবে কাজে যোগদান করেছেন।
ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) লন্ডন কুইনমেরী ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স-এর উপর পড়াশোনা করে আন্ডার গ্রাজুয়েট ফার্ষ্ট ক্লাস (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি লন্ডনের ইউসিএল থেকে ইনফেকশন ইমিউনিটি’র উপর মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তার মাষ্টার্স শেষ করার পর যখন ইউসিএল-এ কাজে যোগদান করেন তখন সায়েন্টিফিক রিসার্চে ভাল ফলাফল দেখে এবং তার কাজ ও ধৈর্য্য দেখে ইউসিএল এর বিজ্ঞানীরা তাকে পিএইচডি করার জন্য উৎসাহিত করেন।
তাফহিমা মলিকোলার ভায়োরোলজির উপর পিএইচডি শেষ করে এবং এ বছর হাই কোয়ালিটি সাইন্টিফিক জার্নাল (পি এন এ এস)-এ তার রিসার্চ এর উপর লেখা ছাপা হয়। এইচআইভি-১ এর ইনফেকশন মানুষের শরীরে কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব পায় তার রিসার্চ। এ বছর সকল পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের জন্য কভিড ১৯ ছিলো একটি কঠিন সময়, কারণ কখন লক ডাউন শেষ হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই কঠিন সময়েও তাফহিমা থেমে থাকেননি, তিনি তার পিএইচডি শেষ করেন।
পিএইচডি শেষ করার পর রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে দুটি কাজের অফার পান, একটি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি এবং অন্যটি কুইনমেরী ইউনিভার্সিটি’তে। সুখের বিষয় যে, তিনি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির অফার প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এই যে, তিনি এমন একটি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন যাতে ভবিষ্যতে মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র মানুষগুলোকে।
কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে তার রিসার্চের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, সাউথ আফ্রিকার ছেলেমেয়েদের অপুষ্টির কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কেন তারা বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে ভোগে তার উপর। তার এই রিসার্চের মাধ্যমে এসব ছেলেমেয়েদের সুস্থ জীবন যাপনে ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করে তাদের ঔষধ দিতে পারবেন।
এছাড়াও তাফহিমা মেটারনাল এইড এসোসিয়েশন (মা) চ্যারিটি অর্গেনাইজেশনে ভলান্টিয়ার হিসেবে একাডেমিক অফিসার এবং রিসার্চে কাজ করছেন যাতে প্রতি বছর বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে হাজার হাজার মায়েদের জীবন উন্নত করে বাঁচতে সাহায্য করে। তার লক্ষ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে ইন্ডিপেন্টে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবেন এবং নিজস্ব একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিসার্চ টীম গঠন করবেন। যার ফলে তিনি বিশ্বের মা এবং ছেলেমেয়েদের জীবন বাঁচাতে রিচার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন।
পরিস্কার ভাবে বলা যায়, ড. তাফহিমা হায়দার এক উচ্চাকাংখী মুসলিম, বৃটিশ বাংলাদেশী মহিলা বিজ্ঞানী, যিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌছার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তার এই উদ্যোগ দেখে আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা উৎসাহিত হবে, বিশেষ করে আমাদের মাইনরিটি ব্যাকগ্রাউন্ডের মেয়েরা এবং মহিলারা তা দেখে অনুসরন করবে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে।
তাফহিমা যেন তাঁর জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারে সে জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। ড.তাফহিমার বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর গ্রামে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..