সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী ইউডব্লিউএসপি শান রাজ্যেও হোপাং শহরে নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্যের জেরে শান ও কাচিন সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে চীন সরকার।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত পুরোনো হলেও এবারের সংকট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সামরিক শাসকরা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পশ্চাদপসরণ অব্যাহত রয়েছে।
সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে ৪৩ শতাংশেরও বেশি জায়গা হারিয়েছে। এর মধ্যে চিন, সাকাই, কিয়াং প্রদেশ এবং উত্তরাঞ্চলের শান এবং শিন রাজ্য উল্লেখযোগ্য।
বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৪০০ শতাধিক সীমান্ত চৌকি হারিয়েছে। এর মধ্যে সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক কার্যক্রম চালানোর অফিসও রয়েছে।
এদিকে রাস্তায় অতর্কিত হামলা থামাতে ব্যর্থ সামরিক বাহিনী তাদের সীমিতসংখ্যক হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করে ঘাঁটিগুলোয় রসদ পাঠাচ্ছে। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। এই মাসে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এবং একটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাচিন রাজ্যের বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহীদের তোপের মুখে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর শত শত সদস্য ভারতে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ না করেই হাজার হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে।
৭৫ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে মিয়ানমারের জান্তা সেনাদের এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন। সেনা সদস্যদের মনোবল ভেঙে পড়েছে।