1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কুয়েত প্রবাসীরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১
  • ২৮৪ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: অনেকেই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন, খাবারের টাকা যোগাতেই হিমশিম অবস্থা। তাদের অভিযোগ, দূতাবাস কোনও খোঁজখবর নিচ্ছে না। লন্ড্রি দোকানের মালিক মো. কামাল হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছি। ২২ বছরের প্রবাস জীবনে এটি নতুন অভিজ্ঞতা। বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দি। অনেকেই বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছে না।

তিনি বলেন, ১২ ঘণ্টা দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে কুয়েত মন্ত্রণালয়। ফলে দোকান ভাড়ার টাকাও উঠছে না। কিন্তু মাস শেষ হলেই কফিলের (মালিক) টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকবে। আরেক লন্ড্রি দোকানের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন (সাগর) বলেন, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে দেশে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। আকামা (কুয়েতে থাকার অনুমতিপত্র) নবায়ন বন্ধ রয়েছে। নতুনভাবে কেউ ঢুকতে পারছে না। দুবাই হয়ে যারা আসছিলো, করোনা মহামারির কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা খোলা থাকলেও তা বের হচ্ছে না। কিন্তু অন্য দেশের শ্রমিকদের ভিসা বিভিন্ন মাধ্যমে বের হচ্ছে।

গাড়িচালক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সকাল ৫টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। কোনও রোজগার নেই। মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে চলছি।

লন্ড্রি দোকানের কর্মী মো. রঞ্জু হোসেন (রিংকু) বলেন, এ অবস্থায় দেশে গেলে কুয়েত ফেরাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জনের আকামা বাতিল হচ্ছে।রেস্টুরেন্টে কর্মরত মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এখন বেশি বেচাকেনা হয় না। কোম্পানিতে যারা কাজ করছেন তাদের অর্ধেক বেতন দেয়া হচ্ছে। অর্থকষ্টে যারা বাইরে কাজ করছেন, তাদের ধরে ধরে আকামা বাতিল করে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী জানান, কোনও কাজ নেই। বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে দিন কাটে। অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনও পদক্ষেপ নেই। খোঁজ-খবরও নেয়া হয় না। করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে গেলেও বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। প্রবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। টাকা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। লাশ দেশে পাঠাতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..