বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: লকডাউনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সরাদেশের কাঁচাবাজার গুলোতে। পাশাপাশি ডিপার্টমেন্টাল সুপারশপ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতেও গ্রাহকদের প্রচন্ড চাপ দেখা যায়। মৌলভীবাজারে সবজির দাম কমলেও গেল পনের দিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি অš-ত ১০০ টাকা থেকে জাতভেদে ৫০০ টাকা পর্যš-। অপরদিকে পেঁয়াজ আলু ও রসুনের দাম ¯ি’তিশীল আছে বলে জানা গেছে। তবে পাইকারি বাজারে সবজি কিংবা নিত্যপণ্যের দাম যেমনই হোক খুচরা বাজারে এসে তা দ্বিগুণ হয়ে যা”েছ। আবার এক বাজার থেকে অন্য বাজার ঘুরলেই চলছে যার যেমন খুশি দাম আদায়।পশ্চিমবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেলো পনের দিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কয়েক দফায়। সর্বনিম্ন ১০০টাকা থেকে মান এবং জাতভেদে সর্বো”চ ৫০০ টাকা পর্যš- বেড়েছে পঞ্চাশ কেজি চালের ব¯-ার দাম।সরেজমিনে মৌলভীবাজারে পশ্চিমবাজার সহ শহরের বিভিন্ন ¯’ানের চালের আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে উনত্রিশ নতুন চাল ১৮০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হ”েছ ১৯০০, হিরা নতুন ১৬০০ থেকে বেড়ে ১৭০০ টাকা, ¯’ানীয় আটাশ ১৯০০ থেকে বেড়ে দুই হাজার টাকা, আশুগঞ্জি মালা একশত টাকা বেড়ে ২৪০০, আশুগঞ্জি উনত্রিশ দাম বেড়ে ২০০০, জিরা সেদ্ধ ২৪০০ টাকা থেকে এক লাফে ২৯০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। আবার অটো মিলের জিরা সেদ্ধ ২৪০০ টাকা থেকে সাড়ে চারশত টাকা বেড়ে ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হ”েছ। অপরদিকে পেঁয়াজ রসুন ও আলুর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এসব পণ্যের দাম প্রায় ¯ি’তিশীল। তিনি জানান মুন্সিগঞ্জি আলু পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করে বিক্রি হ”েছ আর রাজশাহীর আলু পাইকারি দাম ২২ টাকা কেজি। ঠিক তেমনই পেঁয়াজের দাম সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে মানভেদে সর্বো”চ ৩৫ টাকায় বিক্রি হ”েছ। অপরদিকে দেশি রসুনের কেজি ৪০-৪৫ ও চায়না রসুন ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ”েছ।
তবে দাম কমেছে সবজির। সকল সবজিতেই কিছুনা কিছু দাম কমেছে বলে পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে। রবিবার সকালে মৌলভীবাজার বেরীরপাড় সবজির আড়ৎ গিয়ে দেখা গেছে কাকরুল ২০ টাকা করে ধরে পাঁচ কেজি বিক্রি হ”েছ ১০০ টাকায়। যা গেল সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। পটল ২২ টাকা, কচুমুখি ৪০, কাঁচামরিচ ৩০, চিচিঙ্গা ২২, বেগুন ২০, বরবটি ৪০, মুলা ২০, পাতা কপি ২০ এবং পেঁপে ২২, গাজর ৩০ টাকা থেকে নেমে ২৪ টাকা কলেস্টরল টমেটো বিক্রি হ”েছ ২০ টাকা দামে।এসময় সবজি ব্যবসায়ী কাদের আহমদ জানান, গেল এক সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। সর্বনিম্ন তিন টাকা থেকে সর্বো”চ ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম।তবে পাইকারি বাজারে যেমনই হোক লাগামহীন ভাবেই দাম আদায় চলছে খুচরা বাজারে। কখনো কখনো এক বাজার থেকে আরেক বাজারের দামের দ্বিগুণ পার্থক্যও দেখা গেছে। এমনকি সবজি পাইকারি বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ২৫ টাকার ভিতর থাকলেও খুচরা বাজারে ৩৫ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। সে হিসেবে কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা করে মুনাফা আদায় করছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা থেকে সর্বো”চ ৪৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হ”েছ খুচরা বাজারে। একই অব¯’া চালেও। যে চাল পাইকারি বাজারে ১৯০০ টাকা বিক্রি হ”েছ একই চাল খুচরা বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে অন্তত ২১০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।তবে দামের এমন তারতম্যের বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা আছে বলে অভিযোগ করলেন একাধিক ক্রেতা। গতকাল রবিবার বিকালে কোট মার্কেট থেকে ৪৫ টাকা দিয়ে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন ইমরান নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। এতো বেশি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় সকল দোকানেই দাম সমান। পাইকারি বাজারে কত বিক্রি হ”েছ আমরাতো জানি না। এখন দোকানদাররা এর নিচে বিক্রি করবে না। আর আমিতো এক কেজি পেঁয়াজের জন্য পশ্চিমবাজার বা শ্রীমঙ্গলে যেতে পারি না। তাই কিনতে বাধ্য। তবে প্রশাসন উদাসীন না হলে খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে এ ভাবে জিম্মি করতে পারত না।পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারে পণ্যের দামের এমন আকাশ পাতাল পার্থক্যের বিষয় নিয়ে বাজার তদারকির ব্যাপারে প্রশাসনের সু দ”ষ্টির দাবী জানান ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।