বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর হত্যার মামলার প্রধান আসামী প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ও হত্যার ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য জনক কারনে গ্রেফতার করতে পারছে না প্রধান আসামী সাইফুলকে পুলিশ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপর আসামীদের মধ্যে ৪ জন আসামী জেল হাজতে আটক রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্যেখ্য, গত ১৩জুন ভোররাতে দীপা চৌধুরী (২৮) নামের এক গৃহবধুর মৃত দেহ গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামী সাইফুল ইসলামের বড় বোনের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়। স্বামীর বড় বোনের বাড়ির লোকেরা দাবী করেছেন দীপা চৌধূরী আত্মহত্যা করেছে। এদিকে পরিবার সদস্যরা শুরু থেকে বলছিলেন এটি আত্মহত্যা নয়,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
নিহত দীপা চৌধুরীর বোন মৌমিতা চৌধুরী বাদী হয়ে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে গত ১৫জুন মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে গৃহবধুর স্বামী সাইফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৭জুন (বুধবার) রাতে পুলিশ ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শেফী বেগম (৪০),মিজান মিয়া (২০) ও বাদশা মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করেন। জানা যায়, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীপা চৌধুরী। সে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতো। সেখানে তার প্রথম স্বামী ও প্রথম পক্ষের এক ছেলেও রয়েছে। প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলামের সাথে আদালতের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। এ বিয়ে নিয়ে সাইফুল ইসলামের পারিবারিকি দ্বন্দ শুরু হলে সে স্ত্রী দীপা চৌধুরীকে গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামীর বড় বোন শেফী বেগমের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন দীপা চৌধুরী।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহআলম দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, মামলার প্রধান আসামী সাইফুল ইসলামকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলার গোনিন্দ্রপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের খবরে গ্রেফতার করে। পরে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরন করলে আদালত সাইফুলকে জেলা কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।