বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১জুলাই) থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার (২জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার জেলার প্রতিটি সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। রাস্তায় সকাল থেকে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়ছে।
বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। তবে প্রথমদিনের মত শুক্রবার সকালেও প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা কম রয়েছে। ছুটির দিন সকালে মৌলভীবাজাবাসীর অনেকেই বাজার করে থাকলেও লকডাউন থাকায় সকালে বিভিন্ন কাঁচাবাজারে আজ লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে দিন গড়ানোর সাথে সাথে দুপুওে বৃষ্টির কারনে গতকালের চেয়ে আজ কাঁচাবাজারেও কমেছে কিছুটা জন-মানুষের উপস্থিতি।
কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ,বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সকাল থেকে মৌলভীবাজারে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে।
মৌলভীবাজার জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশনায় আজ শুক্রবা সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে দুপুর ১.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মৌলভীবাজার শহরের জনবহুল পশ্চিমবাজার এলাকায় সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নিয়োজিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার ও ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ। এসময় স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ২৮জন ব্যক্তিকে ১০,২০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়৷ এছাড়া,৭জন ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে আটক করা হয় এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন এ অঙ্গীকার প্রদান করায় পরবর্তীতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সহায়তায় পশ্চিমবাজার এলাকায় নিয়োজিত ছিলো ব্যাটেলিয়ন আনসার এবং জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সচেতনতামূলক মাইকিং করানো হয়৷ পশ্চিমবাজার এলাকাসহ সারা শহরব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
উল্যেখ্য, ১জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কঠোর লকডাউন চলবে আগামী শনিবার (৭জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত। এ সময়ে সরকারি,আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস সাত দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবা আর কারখানা খোলা থাকবে। প্রয়োজন হলে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।