শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও দু’দিনের টানা বর্ষনে উজানের পাহাড়ি ঢলে নি¤œাঞ্চল ও এলাকার প্রায় ১৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শাক-সবজিসহ কৃষির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ ও নারায়নপুর এলাকায় নদীর ভাঙ্গন রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায, পতনউষার ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের শতাধিক পরিবার পানিবন্দীর পাশাপাশি শমশেরনগর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল এলাকার আরও প্রায় ৫০টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। দু’দিন ধরে এসব পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়লেও কোন ধরণের ত্রান সামগ্রী পৌঁছেনি। ফলে দু:খ-কষ্টে চলছে তাদের জীবন যাপন।
গত মঙ্গলবার বিকালে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ ও নারায়নপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে নি¤œাঞ্চলে দ্রæত পানি বৃদ্ধি পায়। তবে দু’দিনেও নি¤œাঞ্চলে পানি না কমার কারনে কৃষির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়াও থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বন্যার পানি জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।
পতনঊষারের কৃষক সামছুদ্দীন, আকতার মিয়া, জলিল মিয়া বলেন, ঢল ও বন্যার পানিতে আউশ ক্ষেত, পেঁপে, বেগুনসহ শাক-সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলো সম্পুর্ন বিনষ্ট হয়ে যাবে। পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান মানুষ পানিবন্দি থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নি¤œাঞ্চল এলাকার শতাধিক পরিবার দু’দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পানিবন্দি পরিবার সমুহের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবারসহ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।