1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প: বড়লেখায় আবর্জনা পঁচা মাটিতে স্টেশন ভবনের ভিটা ভরাট !

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৪৭৪ বার পঠিত

আব্দুর রব :  কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের নির্মিতব্য বড়লেখা রেল স্টেশন ভবনের ভিটা (ফুটিং) ভরাট চলছে ময়লা-আবর্জনা পঁচা মাটি দিয়ে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পরিত্যক্ত পলিথিন মিশ্রিত নিম্নমানের পঁচা মাটি ব্যবহারে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এমন অনিয়মে দীর্ঘ মেয়াদি স্থাপনাটির স্থায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রকৌশল সুত্র জানিয়েছে, এই ধরনের পঁচা পলিথিন ও আবর্জনাযুক্ত মাটি দিয়ে ভিটা ভরাট করলে মাটির ফাঁক থেকে যায়, যার কারণে পরবর্তীতে মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়ে মেঝে দেবে যাওয়ার আশংকা থাকে। এছাড়া নিচের মাটি সেটেল না হওয়ার কারণে ভবনের ছাদেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। যা পরবর্তীতে কোনোভাবে মেরামত যোগ্য নয়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাসে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলওয়ে পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু করে ভারতের দিল্লির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘কালিন্দি রেল নির্মাণ’ কোম্পানী। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের মে মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলে পরে তা বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নেওয়া হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দ বর্ধিত করা হয়েছে বলে রেলওয়ে সুত্র জানিয়েছে। ২০১৫ সালের ২৬ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনঃস্থাপন প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ পুণঃস্থাপনের পাশাপাশি প্রকল্পের মধ্যে ব্রিজ-কালভার্ট ছাড়াও রয়েছে ছয়টি পুরাতন স্টেশন ঘর ভেঙ্গে নতুন ভবন ও ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ। সে অনুযায়ী ছয়টি স্টেশন ভরনের নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে ‘বি’ গ্রেডের বড়লেখা স্টেশন ভবনের বেইজ ঢালাই ও ভিম-লিন্টার উঠানো হয়েছে। তবে স্টেশন ভবনের ভিটা ভরাটে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বড়লেখা স্টেশন ভবনের বেইজ ঢালাইয়ের পর ভিটা ভরাট করছে পরিত্যক্ত পলিথিন মিশ্রিত ময়লা-আবর্জনা পঁচা মাটি দিয়ে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বড়লেখা পৌরসভার কাউন্সিলার কবির আহমদ, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম, খায়রুল ইসলাম বলাই প্রমূখ জানান, নিম্নমানের পঁচা মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ চলতে দেখে তাদের মনে হয়েছে এটি ঠিক হচ্ছে না। ইস্টিমিটে অবশ্যই বালু অথবা ভাল মানের মাটি ধরা থাকবে। তারা সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে সিডিউল অনুযায়ী মাটি দিয়ে ভিটা ভরাট করতে বললে তিনি ওই মাটি ধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। পরের দিন দেখেছেন ফুটিং (গর্ত ভরাট) করা নিম্নমানের মাটির ওপর বালু ছিটিয়ে তা ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাতেই সন্দেহ হয়েছে ভিটা ভরাটে অনিয়ম চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের এমন অনিয়মের তারা আশংকা করছেন সরকারী গুরুত্বপুর্ণ ভবনটি অল্প দিনেই দেবে যাবে।

এব্যাপারে ‘কালিন্দি রেল নির্মাণ’ কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক হাওলাদার শনিবার দুপুরে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ এ প্রতিবেদককে জানান, ভবনের বেইজ নির্মাণের যে স্থানে গর্ত করা হয়েছে, ওই স্থানের মাটি দিয়ে ভিটা ভরাটে ক্ষতি নেই। ওই মাটি নিম্নমানের পলিথিন মিশ্রিত ও আবর্জনা পঁচা হলেও কি ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মাটিগুলো ভাল মানের বলে দাবী করেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..