সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি : করোনা মহামারির শুরুর দিকে দেশে এসেছিলেন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে। কিন্তুু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেশে এসে আর প্রবাসে যাওয়া হলো না কাতার প্রবাসী সুমন আহমদের। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মহামারি করোনার কাছে তাকে হার মানতে হলো। রবিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯.৫০ মিনিটের সময় সিলেট উইমেন্স হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার অকাল মৃত্যুতে কুলাউড়ায় সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রবাসী সুমন কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা আকল মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, মা, বাবা ও ৪ ভাইসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি কাতারস্থ কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসায় সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
জানা যায়, প্রায় ১৮ দিন থেকে সুমন জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভূগছিলেন। স্বাভাবিক সময়ের মতো তিনি স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেন। জ্বর না কমাতে স্থানীয় এক চিকিৎসক উনাকে নিউমোনিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মনে করে ওষুধ দেন আরও ৭ দিনের। কিন্তু অসুখ না কমায় এক পর্যায়ে তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৬ জুন তাকে নেয়া হয় সিলেটের উইমেন্স হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। সেখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট নিয়ে গত এক সপ্তাহ থেকে করোনার সাথে লড়াই করেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা সুমন। সময়ের ব্যবধানে তার অক্সিজেন লেবেল কমতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সুমনের ঘনিষ্ট বন্ধু মাহবুবুর রহমান মান্না, আব্দুল মুহিত বাবলু ও মুক্তাদিরুল ইসলাম তুহিন বলেন, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে দেশে এসে আমাদের প্রিয় বন্ধু সুমন আর কাতারে ফিরে যেতে পারেনি। সবকিছু সামলিয়ে যখন প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক তখন সে করোনায় আক্রান্ত হলো। আমাদের ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে যে সে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। রবিবার বিকেল ৫.৪০ মিনিটের সময় সুমনের নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।