1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি এক্সরে-ইসিজি মেশিন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ২১০ বার পঠিত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে ও ইসিজি মেশিন থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলো চালানো যাচ্ছে না। গত এক বছর আগে সরবরাহের পর থেকেই এগুলো পড়ে রয়েছে বাক্সবন্দি হয়ে। এ্যাম্বুলেন্স দুইটি থাকলেও চালক সংকটের কারনে একটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে রোগী পরিবহনেও সংকট দেখা দিয়েছে। লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে ও ইসিজি যন্ত্রগুলো এখনও বাক্সবন্দি পড়ে আছে। প্যাথলজি বিভাগে চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট পদে লোকবল কম থাকায় রোগীরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাতে পারছেন না। এ কারণে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘৩১ শয্যার লোকবল নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু লোকবল নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব মিলিয়ে মাত্র ১১ জন কর্মরত আছেন। এখানে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাদের সঙ্গে আছেন দন্ত বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।’ এছাড়া প্যাথলজি বিভাগে ১ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও এক্সরে টেকনেশিয়ান পদ শূণ্য রয়েছে। এ জন্য রোগীরা এখানে সব সময় রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে পারেন না। এছাড়া উপজেলার আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন চিকিৎসক নেই।
উপজেলার শমসেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি গ্রাম থেকে আসা ডলি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘জ্বর ও শরীরে ব্যথা নিয়ে ছেলেকে নিয়ে এখানে এসেছি। চিকিৎসক তাকে এক্সরে, রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করতে বলেন। কিন্তু এখানে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বিপদে পড়ি। বাধ্য হয়ে ৮৫০ টাকা খরচ করে পর দিন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করিয়েছি।’
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সাজেদুল কবির বলেন, ‘আমি কোন রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরে পাঠাই না। হয়তো সময়ের অভাবে তাদের বলি আজ টেস্ট হবে না, কাল আসেন। আমিতো একা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। আমার কার্যালয়ে তিনটি পদের বিপরীতে আমাকে একা সব সামলে নিতে হয়। খুবই কষ্ট হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা প্রায় সময়ই থাকে লাপাত্তা। এ কারণে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স পায় না রোগীরা। এদিকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের সেবা পেতে চালকদের ফোন করলে অনেক সময় তা রিসিভ না করার অভিযোগও রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এই এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, বহিরাগত এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। ফলে সরকারি কর্মকর্তা ও বহিরাগত এ্যাম্বুলেন্স মালিকদের দখলদারিত্বের কারণে হাসপাতালে আসা রোগী ও তার স্বজনরা প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা সমস্যা রয়েছে। কোন বিভাগে লোকবল আছে, কিন্তু যন্ত্রপাতি নেই। আবার কোন বিভাগে যন্ত্রপাতি থাকলেও লোকবল নেই। এসব সমস্যা দুর করার চেষ্টা করেও পারছি না।’
তিনি আরো বলেন,এক্স-রে ও ইসিজি যন্ত্র চালু করার জন্য জনবল কিছু দিন আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,এখন সিলেট থেকে টেকনিসিয়ান আসলে চালু হয়ে যাবে। আর কোন সমস্যা থাকবে না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..