সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে আজ জমজমাট ম্যাচ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শান্তর দল ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে ম্যাচটাতে বিতর্কিত ঘটনাও ঘটেছে। আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবের বিরুদ্ধে ফেক ইনজুরি নিয়ে নাটকের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটা বাংলাদেশের রান তাড়ার ১১.৪ ওভারের। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তখন প্রয়োজন ৩ বলে ৩৫ রান। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও শুরু হয়েছে সেন্ট কিটসে। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে মাত্র ২ রানে। টিভিতে দেখা গেছে, ওই সময় গ্যালারি থেকে অফগান কোচ জনাথন ট্রট ইশারা করেন খেলার গতি কমানোর। আর তখনই স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নাইব ক্র্যাম্পের অভিনয় করে শুয়ে পড়েন মাটিতে!
মূলত আকাশে বৃষ্টি দেখেই, ডিএল পদ্ধতিতে নিজেদের এগিয়ে রাখতে কোচের পরামর্শে এই নাটক মঞ্চস্থ করেন তিনি। গুলবাদিনের এমন নাটকে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী!
ওই ফেক ইনজুরির পর মাঠে দৌড়ে ছুটে আসেন ফিজিও। আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও ইশারা করেন নাইবকে উঠে দাঁড়াতে। মাঠেই হাসতে থাকেন ফজল হক ফারুকি, মোহাম্মদ নবীরা। তখন বৃষ্টি বাড়ায় আবারও থেমে যায় খেলা। মাঠ ছাড়ার সময় হাসতে হাসতে খোঁড়ানোর ভঙ্গি করেন লিটন দাসও। ধারাভাষ্যকাররাও হাসতে থাকেন অবলীলায়।
ম্যাচের পর এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় রশিদ খানকে। তিনি অবশ্য বিষয়টাকে পাত্তা দিতে চাইলেন না। বলেছেন, ‘বৃষ্টিটা আমাদের হাতে নেই। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যে পুরো ২০ ওভারই খেলতে হবে এবং দশ উইকেট নিতে হবে। আর এভাবেই সেমিতে যাওয়া সম্ভব। গুলবাদিনের ক্র্যাম্প আছে। আশা করি সে ঠিক হয়ে যাবে। তবে তার উইকেট নেওয়াটা আমাদের ওই মুহূর্তে অনেক কাজে দিয়েছে।’
ব্যাটিং কিংবা বোলিং; উভয় ক্ষেত্রেই সময় অপচয় নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা মাঠের খেলায় হয়তো প্রভাব ফেলেনি। আফগানরা ৮ রানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়া ভীষণ সমালোচিত হয় এই কাণ্ড। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন তো বলেই ফেলেন, ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট এখনও বেঁচে আছে এবং লাথি মারছে…’ ভারতের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার অশ্বিন অবশ্য মজার ছলে এক্স-এ বলেছেন, ‘গুলবাদিনের জন্য লাল কার্ড।’