শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম বারেরমত সিজারিয়ান অপারেশন (ওটি) চালু হয়েছে। এ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আনন্দিত স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এক অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এ সেবা চালু হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশলয় সাহা।
তিনি জানান, দীর্ঘ ৪৫ বছর শেষে প্রথমবারের মতো গোয়াইনঘাট সরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ফুটফুটে কণ্যা সন্তান প্রসব করে এক প্রসূতি মা। আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ব্যবস্থা চালু ছিল না। এক অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এ সেবা চালু হয়। প্রসূতি মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। প্রসূতির নাম সুমাইয়া সতি গ্রামের শাহিন এর স্ত্রী। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন। স্থানীয়রা জানান, কোনো অন্তঃসত্ত্বা মায়ের অবস্থার অবনতি হলে দুরের পথ সিলেট যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। সিজারিয়ান অপারেশন এখানে না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উপজেলাবাসীকে। সরকারি সেবার জন্য এ সময়ে উপজেলাবাসীকে বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হত। এতে খরচ হত অতিরিক্ত টাকা, অনেকের সে সামর্থ্য ছিল না। বর্তমানে হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে।
প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন করেন গাইনী কনস্যাল্টেন্ট ডা. সাবিনা, গাইনীর আরেকজন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমা, কনসালট্যান্ট এনেস্থিসিয়া ডা. মামুন এবং নার্সিং সুপারভাইজার, ইনচার্জসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার কিশলয় সাহা বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আমরা সফলতার মুখ দেখেছি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন এর মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু হলো। যা আমার কাছে স্বপ্ন ছিল তার বাস্তবায়ন করতে পেরে অনেক ভাল লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। পাশাপাশি আমার ঊর্ধতন বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।যাদের মাধ্যমে সফলতার মুখ দেখেছি।আমার সকল ডাক্তার এবং নার্সিং সুপারভাইজার, ইনচার্জ সহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।