অর্জুন দেব নাথ : কঠোর লকডাউনের মাঝে কর্মহীন মানুষের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করছে ব্র্যাক সমিতি। ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিপাকে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা। ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা এসব সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ ছাড়া অনেকে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি লালন পালন করছেন।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নিম্ন আয়ের মানুষের আয়-রোজগার একদম বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্নস্থানে ব্র্যাক সমিতির কর্মীরা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করছে চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করছেন ঋণ পরিশোধে। এতে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা।এক ঋণ গ্রহীতা প্রতিনিধিকে জানান, লকডাউনের মধ্যে কর্ম নেই ব্র্যাকের কিস্তি জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিস্তি পরিশোধ না করলে আর ঋণ দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে।সোমবার উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা- বাগানে শমশেরনগর ব্র্যাক সমিতির মাঠ কর্মী শিব্রা সরকার ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিস্তি আদায় না করলে অফিস থেকে বেতন দেওয়া হয় না। তিনি আরো বলেন আমি কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছি না, কেউ নিজ ইচ্ছায় দিলে তা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে শমশেরনগর ব্র্যাক অফিসের ম্যানেজার সাইদুর রহমান এর সাথে জানতে চাইলে বলেন, অফিসে ফোন করে কিস্তি নেয়ার কথা অনুযায়ী আমরা লোক পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো:আশেকুল হক বলেন, ব্র্যাকের মৌলভীবাজার জেলা অফিস কে বলা হয়েছে, কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য। না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..