সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
বিকুল চক্রবর্তী :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রোপা আমন ধানের উৎপাদন বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৫০০ কৃষকদের মাঝে বিনামুলে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ এমওপি সার ও উচ্চ ফলনশীল ৫ কেজি করে আমন ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়নে কৃষকদের কাছে তা পৌছে দেয়া হয়।
এর আগে বুধবার বিকেলে উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজনে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটির সঞ্চালনায় উপজেলা হল রোমে কয়েকজন কৃষকের হাতে এই বীজ ও সার তুলে দিয়ে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দস শহীদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেমসাগর হাজরা প্রমূখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটির জানান, সরকার সল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধানের জাত সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে এ বীজ বিতরণ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। তিনি জানান, এর ফলে কৃষক এ ধান কাটার পর বারতি ফসল হিসেবে সরিষা অথবা গম করতে পারেন।
মোড়ে মোড়ে জ্যাম, রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১১:৪৪
রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোয় মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে দেখা গেছে যানবাহনের ভিড়, যা গত কয়েক দিন দেখা যায়নি। কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিন (৮ জুলাই) সকালে প্রতিটি সিগন্যালে এক থেকে দুই মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
সড়কে বের হওয়া মানুষের অধিকাংশই হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। চেকপোস্টগুলোতেও দেখা গেছে যানবাহনের জট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রায় প্রতিটি বাহনকেই জেরা করছে।
আজ সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এসব এলাকার মধ্যে ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া, বাড্ডা, রামপুরা, দৈনিক বাংলা মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, মগবাজার অন্যতম। এসব এলাকায় ব্যক্তিগত বাহনের পাশাপাশি মানুষের উপস্থিতিও ছিল বেশি।
রাজারবাগে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আফসার উদ্দিন বলেন, সকালে অফিস সময়ে যানবাহনের একটু চাপ বেশি থাকে। তা ছাড়া খিলগাঁও এলাকায় মানুষের বসবাস বেশি। যে কারণে এখানে চাপটা একটু বেশি।
মতিঝিলে চাকরি করেন সাইদুর রহমান। রামপুরার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হওয়া সাইদুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই আমাদের অফিস খোলা। প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়। এখনো পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। আজও রাস্তায় কোনো সমস্যা দেখছি না। কোনো প্রকার তল্লাশি ছাড়ায় চলাচল করতে পারছি।
রামপুরায় রিকশাচালক আবদুল গফুর মিয়া বলেন, করোনাকে তো আমরাও ভয় পাই, ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর খাবার পাব না। তাই যার যার জীবিকার জন্য সবাই লকডাউনেও বাইরে বের হয়েছে। মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে, সবার তো জমানো টাকা নেই। কাজে বের হলেই জীবিকা, পরিবার নিয়ে খাওয়া।
এদিকে বিধিনিষেধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় গতকাল কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) অমান্য করায় গতকাল এক দিনে রেকর্ড এক হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪৫ জনকে এক লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করে।
৮০৪টি গাড়িকে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবুও কেন সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমছে না? এ বিষয়ে অষ্টম দিনের লকডাউনে বাইরে বের হওয়া একাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা তাদের নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একদিনে দেশে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।