1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় পল্লী চিকিৎসকের  অপচিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধারস্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর বাজারের মেসার্স মা পলি ফার্মেসীর চিকিৎসক মেঘনাথ রুদ্র পালের অপচিকিৎসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফৈয়াজ আলীর স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের ছেলে রসিম উদ্দিন গত ২৮ জুলাই কথিত ওই চিকিৎসকের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা আছে কি না তাহা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফৈয়াজ আলীর স্ত্রী ফুলমতি বেগম (৬৫) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হলে তার ছেলে রসিম উদ্দিন শাহবাজপুর বাজারের মেসার্স মা পলি ফার্মেসীর চিকিৎসক মেঘনাথ রুদ্র পালের নিকট চিকিৎসা নিতে আসেন। উক্ত চিকিৎসক ফুলমতি বেগমের জটিল পরিস্থিতি দেখেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট প্রেরণ না করে নিজেই মনগড়া অপচিকিৎসা চালিয়ে যান। চটকদার প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন প্রকার স্টেরয়েড ও হাই এন্টিবায়টিক ওষুধ ব্যবহার করে নিয়মিত অপচিকিৎসা চালান। রসিম উদ্দিন জানান, কথিত চিকিৎসক মেঘনাথ রুদ্র পাল আমার মাকে আশ্বস্থ করেন তার রোগ ভালো হয়ে যাবে, অন্য কোথায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। গত ৭ জুলাই আমার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আমি তাকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করি। আমার মায়ের অবস্থার আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জুলাই তিনি মারা যান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেঘনাথ রুদ্র পালের প্রেসক্রিপনে লেখা ওষুধ দেখে বিম্মিত হন। নিবন্ধনহীন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ব্যতিত কেউ এধরণের হাই এন্টিবায়টিক ওষুধ দিতে পারেন না। ওই চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় ও সময়ক্ষেপনে তার মায়ের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। যার কারণে তাকে বাঁচানো যায়নি।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মেঘনাথ রুদ্র পাল জানান, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফুলমতি বেগম দীর্ঘদিনের রোগি। তিনি চিকিৎসা করছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বললেও তারা ঘুরেফিরে তার কাছেই নিয়ে আসেন। বিএসডিসি’র নিবন্ধন ছাড়াই প্রেসক্রিপশনে কিভাবে এপিক্স, কাটসন এর মতো হাই এন্টিবায়টিক ওষুধ লিখেন জানতে চাইলে বলেন, সবাই লিখে তাই তিনিও লিখেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..