সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: আজ রবিবার দুপুরের দিকে পূর্ব ঘোষনানুযায়ী একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর কয়েক শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মিছিল সহকারে শহরের চৌমহনার দিকে আগাতে থাকে। কোর্ট পয়েন্টের সাকুরা মার্কেট এলাকায় আসা মাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাঁধাদেয় পুলিশ। ওখান থেকে বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে আগালে চৌমহনা এলাকায় আসলে আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষে রুপ নেয়।
সংঘর্ষে ৮-১০টি মোটরসাইকেল,৭-৮ টি গাড়িসহ পুলিশ বক্স্র ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে আশপাশের দোকানের চেয়ার টেবিল এনে রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় পথচারীসহ উভয় পক্ষের শতাধিক আন্দোলনকারীরা আহত হন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী ৪জন সাংবাদিকও আহত হন। অনেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ভাংচুর করা হয় ক্যামেরাও। এসময় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আতঙ্কে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটতে থাকেন। এঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো শহর জুড়ে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের টিয়ারশেল ও সাউন্টগ্রেনেড আর অপরদিকে অতর্কিত হামলায় কিছুটা পিছু হটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নানা ¯েøাগানে মিছিল সহকারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে ধাওয়া দেয়। এসময় দলের নেতাকর্মীরা পিছু হটতে হয়। পুলিশও পিছু হটতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামন থেকে চাঁদনীঘাট,সমশেরনগর রোড,এম সাইফুর রহমান সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল সড়কসহ শহরের বিভিন্ন অলিগলি দখলে নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ও সরকার বিরোধী ¯েøাগান দিতে থাকে। শহর জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এদিকে জনগনের জান মালের নিরাপত্তার সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে সন্ধা ৬টা অনিদৃষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে সরকার।