1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রাজনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত চেয়ারম্যন ছানার লাশ দু’ দিনেও আসেনি বাড়িতে: লাশের অপেক্ষায় পরিবার ও এলাকাবাসী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: রাজনগরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান লাশ দেখার জন্য নিহতের স্বজন সহ শতশত লোক বাড়িতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। চেয়ারম্যন সিরাজুল ইসলাম ছানা (৫০) নিহত হওয়ার দু’দিন হয়ে গেলেও পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট না হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছেনা। লাশ রয়ে গেছে সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দু’ দিন ধরে থামছেনা স্বজনদের কাঁন্না। স্বজনদের সাথে কাঁদছে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা লাশ দেখতে আসা এলাকার শতমত মানুষ। রাজনগর উপজেলার ‘মধুর দোকান’ বাজারে গত শুক্রবার সকাল ১১টায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা (৫০) নিহত হন। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা পাঁচগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার সকাল ১১টায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় গিয়ে শেষ হয়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মধুর বাজারের মহেশ দাসের দোকান লুট করা হয়। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনা চলছিল।

ঘটনার দিন সকালে মধুর বাজারে লুটকারীদের সাথে স্থানীয় আ’লীগ নেতা দেওয়ান মিয়ার ভাই ছুনু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি এলাকা ভিত্তিক রূপ নিয়ে রক্তা গাঁও ও কেওলা গ্রামের লোকজন একে অপরের মুখোমুখি হয়। রক্তা গ্রামের বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতানের নেতৃত্বে কেওলা গ্রামের আওয়ামীলীগের দেওয়ান মিয়ার লোক জনের সাথে মধুর বাজারে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় পিন্টু সুলতান নিহত সিরাজুল ইসলাম উপর গুলি ছুড়েন। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন সিরাজুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন গুলিবিদ্ধ ও ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আতিক, মহেষ দাস, রুহিত দাস, লিটন দাস, অজিত দাস, হিমাংশু দাস, সুমন দা, সঞ্জিত দাস , তারা মিয়া, দুরুদ মিয়া, মোক্তার মিয়া, শাহজাহান,আওলাদ হোসেন, ফয়ছল আহমদসহ উভয় পক্ষে দেড়শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের রাজনগর, মৌলভীবাজার ও সিলেট সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহীনির সদস্যরা অবস্থান করছে।
নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম’র চাচাতো ভাই দেওয়ান মিয়া বলেন, আমার ভাইকে বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতান গুলি করে মেরে ফেলেছে। তারা আমাদের সব দোকান লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে মৌলভীবাজার ও রাজনগরের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এদিকে চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের রাজনগর, মৌলভীবাজার ও সিলেট সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহীনির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম’র চাচাতো ভাই দেওয়ান মিয়া বলেন, আমার ভাইকে বিএনপি নেতা পিন্টু সুলতান গুলি করে মেরে ফেলেছে। তারা আমাদের সব দোকান লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কি কারনে এই হত্যা কান্ড জানতে চাইলে বলেন, এটা তদন্ত ছাড়া বলা যাবেনা।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..