সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতার অনেক ক্ষত এখনো রাস্তাঘাটে রয়ে গেছে; বিশেষ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তাঘাটে ইটপাটকেল ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার অংশবিশেষ এখনো পড়ে আছে। এগুলো অপসারণের দায়িত্ব যে সংস্থার সেই পৌরসভার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরই খোঁজ মিলছে না। অন্যদিকে চলছে ডেঙ্গুর মৌসুম। তাছাড়া্ও পরিস্থিতিতে মশকনিধন কার্যক্রমেও গতি নেই। এ ছাড়া পৌরসভা্ থেকে ট্রেড লাইসেন্স,জন্ম-মৃত্যু সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। শুধু তাই নয় অনেকে আবার বাসা/বাড়িতে বসে চেক কিংবা বিভিন্ন কাগজপত্রে সই স্বাক্ষর করছেন বলে অবিযোগ রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার ৪টি পৌরসভার মেয়র-ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪টি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলেয়ে ৪৮জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। যাহার মধ্যে কয়েকজন বিদেশ সফরে থাকলেও বেশীরভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব মেয়র ও কাউন্সিল যারা বিচারকার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে আজ আত্বগোপনে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে-পরে এসব মেয়র-কাউন্সিলরও আত্মগোপনে চলে যান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব পর্যায়ে কাজ শুরু হলেও ফিরছেন না নগর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিরা। এতে নাগরিক সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের দলীয় পদে থাকায় কাউন্সিলরদের অনেককেই মাঠে থাকতে হয়েছে। অনেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণাও দেন। তা ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে ১৫ বছরে অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নানা অন্যায় ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানির অভিযোগও উঠেছে। যার ফলে নিজ থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা।