সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি: ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনেও মানুষ তা গ্রহণ করে। এর ফলে বহু মানুষ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ধূমপানের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সিলেটে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার ) দেবজিৎ সিংহ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো. এমরান হোসেন এবং সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান। মূল প্রবন্ধে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫; এ আইনে অপরাধ ও শাস্তিসমূহ; তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য কি এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতির দিকসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বিরোধী প্রচারণার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও সেমিনারে তামাক বিক্রির জন্য লাইসেন্স চালু, উন্মুক্ত স্থানে সেমিনার বা ক্যাম্পেইন করা, তামাকের প্যাকেটে লাল অক্ষরে সতর্কতামূলক বার্তা লেখা, এ বিষয়ে বেশি বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, তামাকের ওপর অত্যাধিক কর আরোপের সুপারিশ করেন।