মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক :: শাদমান ইসলাম, ছোট ক্যারিয়ারে উত্থান পতনের খেলা ভালোই দেখেছেন। ২০১৮ সালে অভিষেকের পর থেকে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছেন তিনি। সাত ম্যাচের ক্যারিয়ারে দুই বার ছুঁয়েছেন ফিফটি। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে ৭৪ রানের ১১ ইনিংস ও তিন বছর পর আসে দ্বিতীয় ফিফটি। এই বছর সেই উইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ৫৯।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলেন না দলের সঙ্গে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের চোটের কারণে জায়গা পেলেন।
আর সদ্ব্যবহার করলেন পুরোপুরি। হারারে টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাট হাসেনি শাদমানের। ২৩ রান করে বিদায় নেন। সেই ব্যর্থতা দ্বিতীয় ইনিংসে পুষিয়ে দিয়েছেন। অনবদ্য ঢঙে খেলে তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৮০ বলের ইনিংসে করা শতরানে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান এই বাঁহাতি। আর তার সেঞ্চুরিতেই বাংলাদেশ টেস্ট জয়ের শক্ত ভিত গড়ে ফেলেছে। সফরকারী দলের লিড দাঁড়িয়েছে ৪২৫ রানের।
বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টা সাইফ হাসানের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন ২২ রানে অপরাজিত থাকা শাদমান। ৮৮ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দুই জন।
রিয়ার্ড এনগারাভার বলে গালিতে ক্যাচ দেন সাইফ। ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাদমান। প্রথম সেশনের বাকি সময়ে দলকে নিরাপদে রাখেন এই দুই জন।
লাঞ্চের আগেই শাদমান তুলে নেন তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে শাদমানের প্রথম সেঞ্চুরির সঙ্গে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত।
দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি ছাড়িয়েছে ১৫০ রান।
এর আগে, জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৬ রানে অলআউট হয়। মাহমুদুল্লাহর ১৫০ ও তিন ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৬৮।