1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আগামীকাল এম সাইফুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী: ক্ষনজন্মা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা ও উন্নয়নের রুপকারকে আজও মানুষ ভুলেনি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৯১ বার পঠিত

আমি ও আমার কয়েকজন সহকর্মী খবর পেলেই বাহার মদন গ্রামের বাড়ি ও নিতেশ্বর বাগান বাড়ি যেতাম শ্রদ্ধাভাজন মরহুম এম সাইফুর রহমান (চাচা) কে দেখতে । তিনি এমন এক মহান ও মিষ্টি সুলভ আর সিলেটি ভাষায় মধুর সুরে কথা বলতেন যাহা আর ২য় নেই। আমার মনে পড়ে মহান এই ব্যক্তি দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা ও রাস্তাঘাটসহ উন্নয়ন উন্নয়ন নিয়েই ভাবতেন। তিনি বিমান পথে খুব কমই যাতায়াত করতেন- কারন তাহার মাথায় একটাই রাস্তাঘাট দিয়ে যাতায়াত করলে সমস্যা সম্বাবনা ও তাৎক্ষতিক পদক্ষেপ নিয়ে সিন্ধান্ত নিতে পারতেন। এছাড়াও তিনি অর্থনীতিতে শক্তিশালী করনে যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন টেক্য্র প্রথাকে চালু করে দেশের চাবিকাটি শক্তিশালী করেছিলেন। এক কথায় যতদিন কাছ থেকে দেখেছি ও শুনেছি দেশের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তার চিন্তা ভাবনাকে। তাহার বিশাল মন মানষিকতা ও কোন দল, জাত গোষ্টি নিয়ে ও কোন মতাদর্শ ছিলনা। ছিল দেশ ও মানুষের উন্নয়ন নিয়ে।
আমার এই ছোট জীবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিকে কাছ থেকে দেখেছি। যারা নিজেদের এলাকা বা দলের নেতা কমীকে ও অমুল্যায়ন করে দুর দুর করার হীনমানুষিকতা বাস্তবে দেখেছি। কিন্তু একজন ক্ষনজন্মা- নি:স্বার্থ ও সরলমনা- সাদা সিদে বীর পুরুষ এম সাইফুর রহমান দেশে আর নেই বা আছে বলে মনে হয়না। আল্লা উনাকে জান্নাতের সর্বচ্চো স্থানে রাখবেন আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশের উজ্জল ও আলোকিত নক্ষত্র এবং ক্ষনজন্মা বীর পুরুষ সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার (৫সেপ্টেম্বর)। ২০০৯ সালের এই দিনে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। কিন্তুু সেদিনের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্্য আজও প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মাজে। গাড়িতে যারা ছিলেন তারা চেছে গেলো- আর প্রিয় ক্ষনজন্মা সাইফুর রহমান চলে গেছেন। তাছাড়া দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সময় ক্ষ্যপন নিয়ে আজও মানুষ প্রশ্ন রাখছে। এই দুর্ঘটনার পেছনে কোন রহস্য আছে কি না?

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। অথচ মৌলভীবাজারের উন্নয়ন যে তিমিরে ছিল সেখাই আছে। এখানে মন্ত্রী এমপি হুইপ চিফ হুইপ হয়েছেন। এই সাড়ে ১৫বছরে মৌলভীবাজারে এম সাইফুর রহমান যা করেছিলেন তা-ই আছে।

খোঁজ নিয়ে জেনেছি এসব এলাকায় ২০০১ সালের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হয়েছে অনেক ব্রিজ আর রাস্তা। এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে। বলা যায় গোটা সিলেট বিভাগের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন একজন সাইফুর রহমান। ফলে হাটে ঘাটে মানুষ এখন উনার শূন্যতা আজ ১৫ বছর পর ও অনুভব করছে!
প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জন্ম ১৯৩২সালের ৬অক্টোবর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে। তিনি ১৯৪৯সালে মৌলভীবাজার সরকারি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫১ সালে সিলেট এম সি (মুরারিচাঁদ) কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করেন (১৯৫৩-১৯৫৮) এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস) থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।

মরহুম এম সাইফুর রহমান শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ অক্সিজেন কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পাকিস্তানের করাচিতে। তবে সে কাজ ছেড়ে তিনি ঢাকায় চলে এসেছিলেন। ১৯৬২ সালে দুই সহকর্মীকে নিয়ে রহমান রহমান হক অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি নিরীক্ষা ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি এখন সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করে। যার দায়িত্ব পালন তারই জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক এমপি সিলেট তথা বাংলাদেশের এক উজ্জল নক্ষত্র এম নাসের রহমান।

এম সাইফুর রহমান এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্ররাজনীতিতে যোগ দেন এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান জাতীয় বেতন কমিশনে বেসরকারি খাত হতে একমাত্র সদস্য মনোনীত হন। তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় বেতন কমিশনের সদস্য ছিলেন।

এম সাইফুর রহমান ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলে যোগ দেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে এই দলটি জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) রূপান্তরিত হয়। তিনি ১৯৭৯ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে এবং পুনরায় ২০০১ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। হে আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ আসনে আসীন করুন এবং দেশবাসীর উন্নয়নে শত শত পরিকল্পনা এমনটি টেক্য প্রথা চালুকারীর অন্যতম এই কারিঘরের জন্য দোয়া করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।

লেখক: শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..