বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য খাতের করোনা বরাদ্দ প্রাপ্ত টাকা যথাসময়ে ব্যবহার করতে না পারায় ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬শ’ টাকা ফেরত গেল সরকারের কোষাগারে।
জানা যায়, করোনা টিকা প্রদান, নমুনা সংগ্রহ, রোগীদের পরিচর্যা, করোনা সামগ্রী ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর ওএমএন এইচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরিত উপজেলা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা খরচ না করায় ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকা ফেরত গেল সরকারের কোষাগারে।
মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য সূত্রে, করোনা সংশ্লিষ্ট খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেয় ১ লক্ষ ২ হাজার ১৬০ টাকা। যার খরচ হয়েছে পুরোটাই । আপ্যায়নের জন্য ১০ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮শ’ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮শ’ টাকা। ফেরত চলে গেছে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার। পরিবহনের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ লক্ষ ৬০ হাজার এর মধ্যে খরচ হয় ৪১ হাজার টাকা। ফেরত ৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। ভ্রমনের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ ৮শ’ টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ২শ’ টাকা। ফেরত গেছে ৯৫ হাজার ৬শ’ টাকা।
স্বাস্থ্য বিধান সামগ্রীর জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার ৫৬০ টাকা যার পুরোটাই খরচ হয়েছে। সম্মানি ভাতা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২৫ হাজার ২শ’ টাকার পুরোটাই খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ছয় খাতে বরাদ্ধ হয়েছে ১৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬শ’ টাকা ফেরত চলে গেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সংগনিরোধক খাতে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোন টাকাই কাজে না লাগাতে পারায় পুরোটা ফেরত গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, বরাদ্ধে প্রায় ১৯ লাখ টাকা থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত গেছে।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, মন্ত্রণালয় থেকে টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব টাকা খরচ করা সম্ভব না হয়নি। ব্যয়ের বিষয়ে কোনো এখতিয়ার ছিল না।