1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে চীনা সেনাদের ক্যাম্প স্থাপন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্ভুক্ত অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্পও করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএএল)।

জানা গেছে, ভারতের বহুল আলোচিত অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া বিশাল অংশের মালিকানা দাবি করে প্রতিবেশি চীন। চীনের সাথে ভারতের মোট ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে কেবল বিরোধপূর্ণ অরুণাচলের সাথে চীনের সীমান্ত রয়েছে এক হাজার ১২৬ কিলোমিটার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অরুণাচল টোয়েন্টি ফোর ও নিউজফাইকে একাধিক সূত্র বলেছে, কাপাপু এলাকায় কাঠে আগুন ধরানো, পাথরের গায়ে রঙ ব্যবহার করে লেখা চীনের নাম এবং চীনা খাদ্য সামগ্রীর ছবি দেখে বোঝা যায়, সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ আগে চীনা সৈন্যদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। পাথরের গায়ে ইংরেজিতে ২০২৪ সাল লেখা রয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের মালিকানা দাবি করার জন্য অনুপ্রবেশের সময় চীনা সেনাবাহিনী এসব কৌশল ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজফাই বলছে, দুই দেশকে বিভক্তকারী ম্যাকমোহন লাইনের হাদিগ্রা পাসের কাছের কাপাপুতে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) একটি ক্যাম্পের অবস্থান রয়েছে। আর আনজাও জেলার নিকটতম প্রশাসনিক এলাকা চাগলাগাম ম্যাকমোহন লাইন থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া চাগলাগাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে পার্বত্য এলাকায় গ্লাইতাকরু পাসের অবস্থান।

এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, পিএলএ সৈন্যরা হাদিগ্রা হ্রদের কাছে নিজেদের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম তদারকি করছে। সেখানে তিনটি খননকারী মেশিন দিয়ে খনন কাজ পরিচালনা করতে দেখা যায় চীনের সামরিক বাহিনীকে। একই বছরের ১১ আগস্ট চাগলাগাম থেকে ৩০ কিলোমিটারেরও কম দূরের ওই এলাকার নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করে চীনের সামরিক বাহিনীর এলআরপি টহল দল। ওই সময় হাদিগ্রা হ্রদের নির্মাণাধীন স্থাপনা থেকে কিছুটা উত্তরে চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ক্যাম্পের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

তারও আগে ২০২১ সালে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্যাটেলাইটে ধারণ করা চিত্র বিশ্লেষণ করে জানায়, অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে কমপক্ষে ৬০টি ভবনের দ্বিতীয় ক্লাস্টারের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে চীনা সামরিক বাহিনী। ২০২০ সালে চীনা সৈন্যরা অরুণাচলের দিবাং উপত্যকা জেলায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। ওই সময় দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে অরুণাচলের ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভেতরে ডোইমরু নালার ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করে চীনা সামরিক বাহিনী।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..