রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুমড়াকাপন গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবীর (২৩) নামে এক যুবককে খুন করা হয়। অভিযোগ দায়েরের ২২ িদিন পেরিয়ে গেলেও আসামীদের এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে নিহতের পরিবার আসামি ধরা না পড়ায় এই হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। এদিকে আসামী ধরতে সর্বচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জিয়াউল ইসলাম কমলগঞ্জ থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমড়াকাপন গ্রামের মৃত মো. ছালেক মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (২৩)। নিহত হুমায়ুন কবির ৪ বছর বয়সী এক সন্তানের জনক। গত ১৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮টায় নিজ বাড়ির সামনে ধলাই নদী থেকে পার্শবতী বাড়ির লোকজন হাল্লা-চিৎকার করে ধলাই নদীতে বন্যার পানিতে ভেসে আশা কাঠ ধরছিল। এসময় হুমায়ুন তাহাদের হাল্লা চিৎকার না করে এখান থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু জয়নাল মিয়ার (৫৫) ছেলে সায়েদ মিয়া (৩০) উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। হুমায়ুন প্রতিবাদ করলে সায়েদ মিয়া তার হাতে থাকা কাঠের বর্গা (দেশীয় অস্র) দিয়ে মাথার ডান পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় জয়নালের আরেক ছেলে রমজান মিয়া (২৫) ও জয়নাল দৌড়ে এসে উপর্যপুরী আঘাত করে তাহাকে রক্তাক্ত জখম করে নদীর পাড়ে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। এসময় হুমায়ুনের আর্ত চিৎকারের তার স্ত্রী, মা সহ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাহাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ আগষ্ট হুমায়ুন মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজীনা বেগম (২২) বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী রোজিনা বগেম বলেন, ‘আমাকে যারা বিধবা করেছে ও আমার সন্তানকে যারা এতিম করেছে আমি তাদের ফাসি চাই।’ নিহত হুমায়ুন কবিরের মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে একা পেয়ে জয়নাল ও তার ছেলেরা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এভাবে আমার ছেলের মৃত্যু কখনো ভাবিনি। পুলিশের সামনে আসামীরা ধরতে পারেনি। পুলিশ যেন দ্রুত আসামীদের আটক করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন ছেলের হত্যাকারীদের আমি ফাসি চাই। অভিযুক্ত জয়নাল ও তার ছেলেদের মোটোফোনে একাধিকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জিয়াউল ইসলাম বলেন, মামলার আসামীদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ। খুব শিঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।