বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। আজ রোববার বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন। কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারিতে বিধিনিষেধের মধ্যে এবার এ উৎসব উদযাপন করতে হতে পারে। সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (১২ জুলাই) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ২১ জুলাই (১০ জিলহজ) বুধবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।এর আগে ফেনীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এখানে চাঁদ দেখা গেছে। আমি এখানকার চাঁদ দেখা কমিটির মিটিংয়ে আছি। আমরা এখন ঢাকায় জাতীয় কমিটির কাছে চাঁদ দেখার তথ্য জানিয়ে দিয়েছি।’
করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের জামাত প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের দুটি ঈদ এবং এবার ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার জামাতও হবে মসজিদে। সেক্ষেত্রেও নামাজ পড়তে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, করা যাবে না কোলাকুলি। এদিকে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ জুলাই দেশটিতে জিলকদ মাসের শেষ দিন ছিল। আর রোববার থেকে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী দেশটিতে ঈদুল আজহা পালিত হবে আগামী ২০ জুলাই অর্থাৎ জিলহজ মাসের দশম দিন। ১৯ জুলাই হবে আরাফাতের দিন। সময়ের তারতম্যের কারণে সৌদি আরবে যেদিন ঈদ হয় এর পরের দিন সাধারণত বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয় ।
১০ জিলহজ আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করেন মুসলমানরা। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। দেশে কোরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত এই উৎসবের মূল আহ্বান ত্যাগের। প্রতিবছর এই মাসে সৌদি আরবের পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজ পালন করে থাকেন বিশ্বের লাখ লাখ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।